Dilip Ghosh: ক্ষমতায় থেকেও নীরব কেন? মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দিলীপের

breakingnews কলকাতা রাজনীতি রাজ্য শহর

নিউজ পোল ব্যুরো: রাজ্য জুড়ে হাহাকার চাকরিহারাদের। এই সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) চাকরিহারাদের (Jobless) পাশে থাকার আশ্বাস দিলেও চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের মনোভাব বেশ মিশ্র—কেউ আশাবাদী, আবার কেউবা অতি সতর্ক।পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক আকাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস এখন সংকটের মুখোমুখি। এই পরিস্থিতিতে, জনগণের উদ্দেশ্য, সরকারের কার্যক্রম এবং রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মঙ্গলবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে (Eco Park) প্রাতঃভ্রমণে এসে প্রাক্তন সাংসদ তথা রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) নানা ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।

আরও পড়ুন: SSC Corruption: স্কুলে গেলেও কি বেতন মিলবে? মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের পরও ধোঁয়াশায় চাকরিহারারা

চাকরি বাতিলের (Job Cancellation) প্রভাব নিয়ে বলেন, ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের (Job cancellation) পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, “এটা সিস্টেমের ভুল, সরকার এভাবে জনগণের স্বার্থে কাজ করতে পারে না।” এর ফলে হাজার হাজার কর্মহীন মানুষ শোচনীয় পরিস্থিতির শিকার হবে। তৃণমূল (TMC) সরকারের কার্যকলাপ নিয়ে সমালোচনা করতে গিয়ে তিনি আরো বলেন, “যোগ্যদের চাকরি থেকে বঞ্চিত করে অযোগ্যদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে, যা সমাজে ক্ষোভ তৈরি করছে।”

এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার যে কখনোই স্থায়ী সমাধান দিতে পারেনি, সেটি ইঙ্গিত দিলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) । তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি একেবারেই মিথ্যা, সরকার কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেয় না।” তিনি আরও বলেন, “দুর্বল রাজনৈতিক অবস্থান ও জনবিরোধী সিদ্ধান্তের জন্য সরকার কোন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারছে না।”

সোমবার নেতাজি ইনডোরে (Netaji Indoor Stadium) অনুষ্ঠিত মিটিং থেকে পরিষ্কার, চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। সরকার তাদের দিকে কোনো মনোযোগ দিচ্ছে না, এবং তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) নেতারা কোনো কার্যকরী সমাধান দিতে ব্যর্থ। তারা বলছেন, আন্দোলন ছাড়া পশ্চিমবঙ্গে কোনো পরিবর্তন সম্ভব নয়, সরকার কেবল প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তু বাস্তবায়ন নেই।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাছে যারা গিয়েছিলেন, তাদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। “এই সরকার রাষ্ট্রপতি শাসন না আসা পর্যন্ত সমস্যার সমাধান করবে না,” ঘোষিত হয়েছে।

গ্যাসের দাম (Gas price hike) বৃদ্ধি নিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “সরকার জনগণের কাছে কোটি কোটি টাকা চুরি করেছে, অথচ অন্যদের সমালোচনা করছে।”

অন্যদিকে, রাম নবমী (Ram Navami) নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে চলা বিতর্কও তৃণমূলের রাজনীতিকে প্রভাবিত করেছে। দিলীপ ঘোষ মন্তব্য করেছেন, “রাম নবমী শুধুমাত্র হিন্দুদের উৎসব, এতে রাজনৈতিক ভেজাল ঢোকানো উচিত নয়।” তার মতে, কিছু মুসলিম সম্প্রদায় সম্প্রীতির কথা বললেও আসলে তারা জনমনে বিভেদ সৃষ্টি করতে চায়।

দমদমে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা আর রাজনৈতিক সংকটও স্পষ্ট হয়েছে। বহু নেতা পদাধিকারী নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত, যার ফলস্বরূপ তারা রাম নবমীর মিছিলে অংশগ্রহণ করেছেন।

সর্বোপরি, পশ্চিমবঙ্গে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি গভীর অস্থিরতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। জনগণের চাহিদা পূরণের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস যদি দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ না নেয়, তবে ভবিষ্যতে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে সমাজ পরিচালিত হতে পারে।