নিউজ পোল ব্যুরো: ঝা চকচকে শহরে যখন র্যাম ওয়াক আর ক্যাটওয়াক একই সঙ্গে সকলের মন মাতায় তখন শহরে এলো এক অন্য ধরণের ফ্যাশন কলকাতার বুকে (Kolkata Trends) এবার শুরু হলো এক অন্য রকমের ফ্যাশন আন্দোলন—পরিবেশবান্ধব ফ্যাশনের পথে এক সাহসী পদক্ষেপ। শ্রী গৌতম মুখোপাধ্যায় ও তর সহধর্মিনী অনন্যার ভাবনায় তৈরি হলো ‘ওয়ান্ডার উইভ্স’। আর তারই প্রথম আয়োজন ছিল এক চমকপ্রদ প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা, যার শিরোনাম ছিল ‘প্রকৃতি প্রতিটি সুতোয়’- এক স্থিতিশীল ভবিষ্যতের নকশা”*।এই অনুষ্ঠান যেন নতুন করে ভাবতে শেখাল—ফ্যাশন মানেই শুধু রঙিন পোশাক নয়, বরং এমন কিছু বেছে নেওয়া, যা পৃথিবীর উপকারে আসে। আজকের দিনে যখন ফাস্ট ফ্যাশন আমাদের জীবনকে একদিকে সাজাচ্ছে, অন্যদিকে পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, তখন ‘ওয়ান্ডার উইভ্স’ এক শান্ত কিন্তু শক্তিশালী বার্তা নিয়ে হাজির হলো।

আরও পড়ুন:- Thakurpukur:’আমি ছিলাম না সেই গাড়িতে’—স্যান্ডি সাহার বিস্ফোরক দাবি!
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নানা ক্ষেত্রের বিশিষ্ট মানুষজন—প্রাক্তন হিডকো চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন, স্বামী বেদাতীতানন্দ (রবি মহারাজ) বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশন থেকে, বিজ্ঞানী ডঃ সুস্মিতা ভট্টাচার্য, অধ্যাপিকা কণিকা দাস ভট্টাচার্য (আইআইইএসটি শিবপুর), চাইল্ড ইন নিড ইনস্টিটিউট-এর কাকলি দে, সমাজসেবী ইমরান জাকি, অনিন্দিতা রায় সান্যাল (ব্রিজিং কালচারস), সাংবাদিক সঞ্জীব ঘোষ এবং চলচ্চিত্র পরিচালক দেবাশিস সেন শর্মা। এঁদের সক্রিয় উপস্থিতি অনুষ্ঠানটিকে আরও প্রাণবন্ত করে তুলেছিল।আলোচনা সভায় উঠে এল এমন এক ভাবনা—ফ্যাশন আমাদের জীবনযাত্রার অংশ হলেও, সেটা যেন পরিবেশের প্রতি দায়িত্ববান হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। আলোচনার কেন্দ্রে ছিল পাট, (Kolkata Trends) সেই সাধারণ কিন্তু অসাধারণ প্রাকৃতিক তন্তু, যা দিয়ে তৈরি হতে পারে স্টাইলিশ পোশাক, ব্যাগ, এমনকি প্যাকেজিং-ও। গৌতম মুখোপাধ্যায় বললেন, “নদী যেমন নিজের পথ খুঁজে নেয়, তেমনই আমাদের ফ্যাশনের রাস্তাও পরিবেশের দিকে মোড় নিতে হবে।” তাঁর কথায় ফুটে উঠলো এক সবুজ ভবিষ্যতের স্বপ্ন, যেখানে পাট শুধু কাঁচামাল নয়, বরং ফ্যাশনের মূল তারকা।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

প্রদর্শনীর প্রতিটি অংশ ছিল প্রাকৃতিক উপাদানের সৌন্দর্যের এক অনবদ্য উদাহরণ। পাট, জুকো, কটনের ব্যবহার এমনভাবে করা হয়েছিল, যাতে গ্রামের সহজ সরল রূপ আর শহরের আধুনিক (Kolkata Trends) ধারা—দুটোই একসাথে ধরা পড়ে। পোশাক, ব্যাগ, অ্যাকসেসরিজ—সবেতেই ছিল পরিবেশবান্ধব ভাবনার ছোঁয়া। এই আয়োজন ছিল দেখার মতো। ভাবার মতোও ছিল অনেক কিছু। এখানে ফ্যাশনের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল সচেতনতা, ভালবাসা, আর ভবিষ্যতের চিন্তা। বার্তাটি ছিল স্পষ্ট—”স্টাইল রাখতে হলে, পরিবেশকে ভুলে গেলে চলবে না।”