India-China: আমেরিকার খেল খতম! এক হচ্ছে ড্রাগন-হাতি?

আন্তর্জাতিক

নিউজ পোল ব্যুরো: বিশ্বের বৃহত্তম দুই উন্নয়নশীল দেশ ভারত এবং চিন (India-China)একত্রে যদি নিজেদের শক্তি মেলায়, তাহলে কি সম্ভব আমেরিকাকে (America) চাপের মধ্যে রাখা? সম্প্রতি চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Shi Jinping) এই সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছেন, যেখানে “ড্রাগন” (চিন) এবং “হাতি” (ভারত) একত্রে নাচার কথা বলা হয়েছে। এর মাধ্যমে তিনি তুলে ধরেছেন ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুললে বিশ্বের পরাশক্তি, বিশেষ করে আমেরিকার অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। চিনের রাষ্ট্রদূত ইউ জিংও তার বক্তব্যে ভারত ও চিনের (India-China) বাণিজ্যিক সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। যেখানে তিনি দাবি করেছেন, ট্রাম্প (Donald Trump) প্রশাসনের শুল্কনীতির (Tarrif War) বিরুদ্ধে একযোগে কাজ করলে উভয় দেশই লাভবান হতে পারে।

আরও পড়ুন: Nepal : গণতন্ত্র বাঁচাতেই হবে! বিভেদ ভুলে এক হচ্ছে সব দল?

ইউ জিংয়ের মতে, ভারত ও চিনের (India-China) মধ্যে শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্কের মাধ্যমে বিশ্বের বাণিজ্য পরিস্থিতি স্থিতিশীল হতে পারে। যা বিশ্বের অন্য দেশগুলির উন্নতির জন্যও সহায়ক হতে পারে। তিনি আরও বলেন, একতরফা শুল্ক ব্যবস্থা (Tariff War) এবং বাণিজ্যযুদ্ধ কখনই দীর্ঘমেয়াদী সমাধান দিতে পারে না বরং বহুপাক্ষিক সমঝোতা ও সহযোগিতা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিস্থিতিতে, ভারত এবং চিন যদি নিজেদের সম্পর্ককে আরও গভীর করে তাহলে তারা মার্কিন শুল্কের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী মঞ্চ তৈরি করতে সক্ষম হবে।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

তবে চীনের এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে একটি সুর আরও স্পষ্ট হয়েছে, যা ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে চিন মার্কিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে একটি দৃঢ় অবস্থান নিতে চাইছে। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের কথায়, “ড্রাগন এবং হাতি একসঙ্গে নাচলে, পৃথিবী দেখতে পাবে এক শক্তিশালী যুগের সূচনা।” অর্থাৎ, দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্কের মাধ্যমে শুধুমাত্র পারস্পরিক লাভই নয়, বৈশ্বিক বাণিজ্যেও একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে পারে।