CP on Sacked Teacher: চাকরিপ্রার্থীদের উপর লাঠিচার্জ কাণ্ডে মুখ খুললেন সিপি

কলকাতা শহর

নিউজ পোল ব্যুরো: ফের উত্তাল কলকাতার রাজপথ। বুধবার কসবা অঞ্চলের ডিআই অফিস চত্বরে চাকরিহারাদের (Job Seekers) বিক্ষোভ চরমে পৌঁছায়। অভিযোগ, পুলিশি বাধা পেরিয়ে এগোতে গেলে চাকরিহারাদের উপর চালানো হয় বেপরোয়া লাঠিচার্জ (CP on Sacked Teacher)। ঘটনায় গুরুতর আহত হন বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী। এ নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক ও রাজনৈতিক তরজা। চাকরিহারা আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, তাদের শান্তিপূর্ণ মিছিল লক্ষ্য করে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল পুলিশ। অভিযোগ, পুলিশ কোনো উসকানি ছাড়াই আক্রমণ চালায়। বিক্ষোভকারীদের দাবি যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে এসএসসিকে (SSC)। এক বিক্ষোভকারী বলেন, “আমরা তো শিক্ষকের চাকরির দাবি নিয়ে এসেছিলাম। আজ আমাদের থাকার কথা ছিল স্কুলে, হাতে পেন থাকার কথা। কিন্তু তার বদলে আজ রাজপথে আমরা পুলিশের লাঠির ঘায়ে লুটিয়ে পড়ছি।”(CP on Sacked Teacher)

আরও পড়ুন:-Abhijit Ganguly: এসএসসিকে দুদিনের সময়সীমা বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

বুধবার সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ডিআই অফিস ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নিতে পথে নামেন চাকরিহারা যুবক-যুবতীরা। অধিকাংশ জায়গায় পুলিশি বাধা ও বিক্ষোভে উত্তেজনার ছবি ধরা পড়ে, তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে যায় কসবা ডিআই অফিসের ঘটনা (CP on Sacked Teacher)। মিছিল করে এগোতে গেলে বাধা দেয় কলকাতা পুলিশ। তারপরেই শুরু হয় ধস্তাধস্তি, উত্তেজনা, এবং শেষ পর্যন্ত লাঠিচার্জ। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, পুলিশের লাঠিচার্জ এতটাই বেপরোয়া ছিল যে, বহু চাকরিহারা গুরুতর আঘাত পান। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে এক স্কুল শিক্ষক অসুস্থও হয়ে পড়েন। চাকরিহারাদের অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়েছেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভর্মা (Kolkata Police Commissioner Manoj Verma)। তার বক্তব্য, “পুলিশের উপর প্রথম চড়াও হয়েছে আন্দোলনকারীরাই। ইতিমধ্যেই চার জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে দু’জন মহিলা পুলিশ কর্মীও রয়েছেন। আমাদের কাছে সেই ঘটনার ভিডিয়ো ফুটেজ রয়েছে।”

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

লাঠিচার্জ সংক্রান্ত প্রশ্নে কমিশনার জানান, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছিল। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতেই মৃদু লাঠিচার্জ করা হয়েছে। পুলিশ কমিশনারের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ চাকরিহারারা। এক আন্দোলনকারী বলেন, “এসি রুমে বসে বসে অনেক কিছু বলা যায়। পুলিশকে আগেই নির্দেশ দেওয়া ছিল আমাদের মারার জন্য। আমরা মিছিল নিয়ে পৌঁছানোর আগেই তারা লাঠি চালানো শুরু করে। তারপরও থামেনি, ঘুষি-চড়-লাথি চলতেই থাকল।” চাকরিহারাদের বক্তব্য অনুযায়ী, এই ঘটনার (CP on Sacked Teacher) মাধ্যমে রাজ্য সরকার ও প্রশাসন তাদের বঞ্চনার প্রতিবাদকে দমন করতে চাইছে। তাদের প্রশ্ন, “যেখানে আমাদের শিক্ষকের চাকরি পাওয়া উচিত ছিল, সেখানে আজ কেন আমরা রাজপথে রক্তাক্ত হচ্ছি?”