নিউজ পোল ব্যুরো: কসবার ডিআই (DI) অফিসে চাকরিহারাদের প্রতিবাদী অভিযান ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে (Kasba Case)। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে চাকরি হারানো আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক এফআইআর (FIR) দায়ের করেছে পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধি বা ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (IPC) অন্তর্গত ৮টি ধারায় মামলা হয়েছে, যার মধ্যে তিনটি ধারাই জামিন অযোগ্য (Non-bailable Offences)। একটি এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ নিজ উদ্যোগে (suo motu FIR), অপরটি দায়ের করা হয়েছে কসবার জেলা পরিদর্শকের (DI) পক্ষ থেকে। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কসবা থানার এসআই (SI) রিটন দাসকে (Riton Das)। কিন্তু এখানেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। কারণ, অভিযোগকারীদের দাবি, অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার রিটন দাসকেই ঘটনাস্থলে এক চাকরিহারাকে লাথি মারতে দেখা গিয়েছে। সেই ছবি ও ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Viral protest video)।
আরও পড়ুন:- Rajarhat News: অভিজাত আবাসন থেকে প্রৌঢ়ার দেড় উদ্ধার
চাকরিহারাদের প্রশ্ন, অভিযুক্তই কীভাবে তদন্তের দায়িত্ব পান? তাঁরা আশঙ্কা করছেন, এর ফলে তদন্তে স্বচ্ছতা আসবে না। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে বিরোধী দলগুলি—সিপিএম ও বিজেপি। তাঁদের বক্তব্য, অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিককে তদন্তে রাখা একপ্রকার প্রভাব খাটানোর চেষ্টা। প্রসঙ্গত, গত ৩ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court Order) রায়ে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী চাকরি হারিয়েছেন। এই ঘটনাকে (Kasba Case) ঘিরে গোটা রাজ্যে চলছে বিক্ষোভ ও আন্দোলন। সেই আবহেই ৭ এপ্রিল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে (Netaji Indoor Rally) মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) চাকরিহারাদের সমাবেশে যোগ দিয়ে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন এবং ‘স্বেচ্ছাশ্রমে’ (voluntary service) স্কুলে যাওয়ার আহ্বান জানান।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
তবে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তার পরও চাকরিহারাদের আন্দোলন থামেনি। ১০ এপ্রিল তাঁরা ফের কসবা ডিআই অফিস অভিযান করেন, যেখানে পুলিশের ‘রণংদেহী’ (aggressive) ভূমিকায় আহত হয়েছেন একাধিক চাকরিহারা। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ লাঠিচার্জ, ঘুসি এবং লাথি মেরেছে। এই ঘটনায় (Kasba Case) পুলিশের ভূমিকা ও অভিযুক্ত অফিসারের উপর তদন্তভার দেওয়া নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে বিশ্লেষকরা। চাকরিহারাদের একাংশের দাবি, এটা তদন্ত প্রভাবিত করার স্পষ্ট চেষ্টা।