Senior Citizen Train Concession: প্রবীণদের জন্য ট্রেনের টিকিটে কি ফিরছে সেই সুবিধা?

দেশ

নিউজ পোল ব্যুরো: সোশ্যাল মিডিয়ায় মাঝেমধ্যেই হইচই পড়ে যায় একটি এক খবর ঘিরে—ভারতীয় রেল (Indian Railways) নাকি আবার ফিরিয়ে আনছে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য দূরপাল্লার ট্রেনের কনসেশন (Senior Citizen Train Concession)। বহু প্রবীণ নাগরিকের মধ্যে আশার আলো জাগে। তারা ভাবেন, হয়তো আবার সেই পুরনো দিনের মতো কম খরচে সফরের সুযোগ মিলবে। কিন্তু বাস্তবে ঘটছে উলটোটা। টিকিট কাটতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, কোনওরকম ছাড় তো নেই, বরং আগের মতোই পুরো টিকিটের দাম গুনতে হচ্ছে তাদের। এই বিভ্রান্তি ও অসন্তোষের আবহেই ভারতীয় রেল আবারও স্পষ্ট করল তাদের অবস্থান—প্রবীণদের ট্রেনের কনসেশন আপাতত ফেরানো হচ্ছে না। কোভিড (Covid-19 Pandemic) সময়কালে যে ছাড় তুলে নেওয়া হয়েছিল, তা ফিরিয়ে আনার কোনও পরিকল্পনাই এখন নেই রেলের কাছে।

আরও পড়ুন:- Nagpur Factory Explosion: অ্যালুমিনিয়াম কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ!

রেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যে প্রায় পাঁচ বছর সময়কালের মধ্যে প্রবীণদের কনসেশন বন্ধ রাখা হয়েছিল, তাতেই রেলের আয় বেড়েছে বিপুলভাবে—প্রায় ৮,৯১৩ কোটি টাকা! এই পরিসংখ্যান সামনে আসতেই বোঝা যাচ্ছে, লাভের জন্য প্রবীণ নাগরিকদের এই ‘সুবিধাবঞ্চনা’ মেনে নিতে মোটেই আপত্তি নেই রেলের। প্রসঙ্গত, আগে পুরুষ এবং রূপান্তরকামী যাত্রীরা যদি ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সের হতেন, তাহলে তাদের টিকিটের মূল্যের ৪০% ছাড় দেওয়া হতো। মহিলাদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ছিল ৫৮ বছর, এবং তাঁদের দেওয়া হতো ৫০% ছাড় (Senior Citizen Train Concession)। এই নিয়ম বহু দশক ধরে চলে আসছিল। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ পরবর্তীকালে একাধিক খাতে খতিয়ে দেখে বুঝতে পারেন, এই ছাড়ে যেমন লাভের পরিমাণ বাড়ছে না, তেমনই ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে চড়চড় করে। ফলে শুধু প্রবীণদের ক্ষেত্রেই নয়, বিভিন্ন অন্যান্য ক্ষেত্রেও ছাড়ের ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয় রেল (Railways Subsidy Cuts)। তবে প্রবীণদের ক্ষেত্রে ছাড় তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তটি সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

রেল মন্ত্রকের তরফ থেকে দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ (Senior citizen train concession) সালের মার্চ থেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ বছরে— প্রবীণ পুরুষ যাত্রীর সংখ্যা ছিল প্রায় ১৮ কোটি ২৭ লক্ষ। প্রবীণ মহিলা যাত্রী ছিলেন ১৩ কোটি ৬ লক্ষ এবং রূপান্তরকামী যাত্রী ছিলেন ৪৩,৫৩৬ জন। মোট মিলিয়ে প্রায় ৩১ কোটি ৩৫ লক্ষ প্রবীণ নাগরিক ট্রেনে সফর করেছেন এই সময়কালে। আর তাদের কনসেশন না দেওয়ার ফলে রেলের ঘরে এসেছে প্রায় ন’হাজার কোটি টাকা! এই প্রসঙ্গে কিছুদিন আগে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেছিলেন, “ভারতীয় রেল এমনিতেই প্রতিটি টিকিটে যাত্রীদের প্রায় ৪৬% ভর্তুকি দেয় (Railway Ticket Subsidy)। তার পর আবার অতিরিক্ত কনসেশন দেওয়া অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে যুক্তিযুক্ত নয়।” অর্থাৎ, রেল যাত্রীদের ‘অপ্রকাশিতভাবে’ অনেকটাই ছাড় দিচ্ছে বলে দাবি সরকারের। সেই জায়গা থেকে দেখা হলে প্রবীণদের আলাদা করে আর কোনও কনসেশন দেওয়া হচ্ছে না—এটাই তাদের নীতিগত অবস্থান।