Digha News: দিঘায় জগন্নাথ ধামের পাল্টা কাঁথিতে বিজেপির লক্ষ সনাতনী সমাবেশ, রাজনৈতিক তরজা চরমে

জেলা রাজ্য

নিউজ পোল ব্যুরো: আগামী ৩০ এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয়ার দিন পূর্ব মেদিনীপুরের (Digha News) রাজনৈতিক আবহে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে ধর্ম ও রাজনীতির মেলবন্ধন। দিঘার সৈকতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) স্বপ্নের ‘জগন্নাথ ধাম’ (Jagannath Temple) মন্দিরের উদ্বোধন ঘিরে যখন শাসক দল বড়সড় সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় কর্মসূচির মাধ্যমে প্রচার কৌশল সাজাচ্ছে, ঠিক সেই দিনেই পাল্টা চমক দিতে মাঠে নামছে বিরোধী বিজেপি (BJP)।

আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: মমতার রাজ্যে সংবিধান নেই: দিলীপ ঘোষ

অধিকারী গড় কাঁথির (Digha News) রেলস্টেশন সংলগ্ন ময়দানে, ‘সনাতনী সংস্কার উন্নয়নী সমিতি’-র উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এক বিশাল সনাতনী সমাবেশ। যেখানে লক্ষাধিক ভক্ত, পাঁচ হাজার সাধু-সন্ত, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath), যোগগুরু রামদেব এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) উপস্থিতির সম্ভাবনা প্রবল। ইতিমধ্যেই সভাস্থল পরিদর্শন করেছেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্বরা—অরূপ কুমার দাস, সোমনাথ রায়, ড. চন্দ্র শেখর মণ্ডল প্রমুখ।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই অনুষ্ঠান শাসক তৃণমূলের (TMC) ধর্মীয় ভাবনাকে টেক্কা দেওয়ার বিজেপির কৌশল। যেখানে তৃণমূলের (TMC) পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, “আমরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করি না, জগন্নাথ ধাম আমাদের সংস্কৃতির গর্ব”, সেখানে বিজেপি (BJP) একে দেখাতে চাইছে হিন্দুত্বের বৃহৎ শক্তি প্রদর্শনের দিন হিসেবে।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

তৃণমূল ও বিজেপির এই পাল্টাপাল্টি ধর্মীয় কর্মসূচি শুধু আঞ্চলিক রাজনীতির উত্তাপ বাড়াচ্ছে না, বরং ভবিষ্যতের লোকসভা নির্বাচনের ময়দানে পূর্ব মেদিনীপুরকে (Digha News) এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটেলগ্রাউন্ডে পরিণত করছে।

গেরুয়া শিবিরের সূত্র অনুযায়ী, সমাবেশে উপস্থিত থাকতে পারেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, যোগগুরু রামদেব, পুরীর দয়িতাপতি, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ প্রায় পাঁচ হাজার সাধু-সন্ত। এই প্রসঙ্গে কাঁথির পৌরসভার চেয়ারম্যান ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, “আমরা কখনও ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করিনি। জগন্নাথ দেবের মন্দির তৈরি হওয়া আমাদের জেলার গর্ব। ওদের উদ্দেশ্য একটাই—প্রচারে থাকা।”