নিউজ পোল ব্যুরো: রাজ্যে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক হিংসা ও অশান্তির আবহে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Unrest)। শনিবার (Saturday) রাতেও সামশেরগঞ্জ-সহ জেলার একাধিক প্রান্তে নতুন করে অশান্তির ছবি উঠে এসেছে। দুষ্কৃতীদের হাতে আগুনে পুড়েছে বিএসএফের (BSF) গাড়ি, প্রাণ হারিয়েছেন এক বাবা-ছেলেও। এই ঘটনার পরই রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার এবং বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আইজি করণি সিং দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে।
আরও পড়ুন: 2016 SSC Panel: রাজ্যে চাকরি হারানোদের তালিকা
এই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার রাতেই কলকাতা হাইকোর্টের (Kolkata High Court) নির্দেশে আধাসেনা মোতায়েন করা হয় মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Unrest) জেলায়। রাতভর চলে টহল, নজরদারি। সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর তৎপরতা ছিল। তবে তা সত্ত্বেও অশান্তির আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও দুষ্কৃতীদের বেপরোয়া কার্যকলাপে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে প্রশাসন।
এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিলেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো (Jyotirmoy Singh Mahato)। এক্স হ্যান্ডেলে (X Handle) পোস্ট করে তিনি বাংলায় “আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট” (AFSPA) জারির দাবি জানান। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের বর্তমান শাসক দল মুখে শান্তির বার্তা দিলেও বাস্তবে প্রশাসনিক ব্যর্থতার কারণেই এই ধরনের অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র বিপন্ন। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে এবং ভয় দেখাতে রাজ্য জুড়ে পরিকল্পিত ভাবে অশান্তি ছড়ানো হচ্ছে। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad Unrest) ঘটনাই তার জ্বলন্ত উদাহরণ। সেই কারণেই তিনি কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ এবং প্রয়োজনে সেনা মোতায়েনের দাবিতে জোর দিয়েছেন।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক টানাপোড়েন আরও বেড়েছে। রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ (Manoj Panth) ও ডিজি রাজীব কুমারের (Rajeev Kumar) সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করে গোটা পরিস্থিতির আপডেট নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব গোবিন্দ মোহন। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেই এখন কেন্দ্রের দ্বারস্থ বিজেপি সাংসদরা। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, আগামী লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এধরনের দাবির মধ্যে দিয়ে রাজ্যে শাসক দলের বিরুদ্ধে বিজেপির সুর আরও চড়তে শুরু করেছে।