নিউজ পোল ব্যুরো: সোমবার (Monday) সকাল থেকেই ভাঙড়ে (Bhangar) ফের একবার রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়াল কেন্দ্রীয় ওয়াকফ আইনের (Waqf Bill) বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জেরে। ইতিমধ্যে মালদহ (Malda) ও মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) পর এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) এই সংবেদনশীল এলাকায় আইএসএফ (ISF)-এর (ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট) ডাকে রামলীলা ময়দান অভিযানের সূত্রে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় শোনপুর, বাসন্তী, মিনাখাঁ ও সংলগ্ন অঞ্চলগুলি।
আরও পড়ুন: Murshidabad Issue: ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভের চেষ্টা, বাসন্তী হাইওয়েতে উত্তেজনা
আইএসএফ (ISF) এর নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন দিক থেকে কলকাতামুখী যাত্রা শুরু করলে পুলিশ তাদের থামিয়ে দেয়। সেখানেই বেধে যায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, লাঠিচার্জ (Bhangar) এবং সম্পত্তি ভাঙচুরের মতো ঘটনা। প্রতিবাদকারীরা পুলিশের পাঁচটি বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয়, একাধিক গাড়িতে ভাঙচুর চালায় বলে জানা গিয়েছে। বাসন্তী হাইওয়েতে (Basanti Highway) দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে পড়ে।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে প্রশাসন চাপে পড়ে। অন্যদিকে, রাজনৈতিক বার্তা দিতে পিছপা হয়নি আইএসএফ। দলের প্রধান নওসাদ সিদ্দিকি (Nausaud Siddique) স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, তারা শান্তিপূর্ণভাবেই আন্দোলন চালাতে চায়। পুলিশ যখন শিয়ালদহ (Sealdah) থেকে ধর্মতলা (Dharmatala) পর্যন্ত মিছিলের অনুমতি না দেয়, তখন তিনি কর্মীদের নির্দেশ দেন, দলীয় পতাকার বদলে জাতীয় পতাকা নিয়ে যেন তারা আন্দোলনে (Bhangar) অংশ নেয়। যার মধ্যে একধরনের রাজনৈতিক কৌশল স্পষ্ট।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রাজ্যে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে যে নতুন করে রাজনৈতিক হিসেবনিকেশ শুরু হবে, তা বলাই বাহুল্য। কেন্দ্রীয় নীতির বিরুদ্ধে রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে পড়া ক্ষোভকে আইএসএফ যে রাজনৈতিকভাবে কাজে লাগাতে চাইছে, তা এই ঘটনাতেই স্পষ্ট হয়ে উঠল।