Pattachitra: তুলিতে-গানে পটশিল্পের ঐতিহ্য মেদিনীপুরে

জেলা রাজ্য সংস্কৃতি

শ্যামল নন্দী, বারাসাত: নতুন বছরের আগমন মানেই বাংলার মাটিতে এক নতুন প্রাণের স্পন্দন। ঠিক তেমনই এক প্রাণবন্ত মুহূর্তের সাক্ষী থাকল পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার নয়ার পটশিল্প (Pattachitra) পল্লি। বাংলা ১৪৩২ সালকে বরণ করে নিতে যখন গোটা রাজ্য উৎসবের আনন্দে মেতেছে, তখন এই পল্লিতে যেন উৎসবের আবহ আরও কিছুটা গভীর হয়ে উঠল চারজন রোমানিয়ান পর্যটকের আগমনে।

আরও পড়ুন: Sarada Devi: নববর্ষে পূণ্যার্থীদের ঢল জয়রামবাটীতে, মাতৃভক্তিতে ভরে উঠল আঙিনা

বিদেশি পর্যটকদের আগমনে যেমন উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে পটপাড়ায়, তেমনই নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পটশিল্পীরাও (Pattachitra) নিজেদের কল্পনার ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলেন বাংলা সংস্কৃতির রঙিন রূপ। বাহাদূর চিত্রকর ও রুপসনা চিত্রকর মিলিতভাবে দু’দিন ধরে নববর্ষকে (Bengali New Year) ঘিরে একাধিক পটচিত্র আঁকেন। যেখানে হালখাতা, মঙ্গলঘট, আলপনার মতো মোটিফ উঠে আসে নতুন মাত্রায়। শুধু ছবি নয়, সেই চিত্রের সঙ্গে মিলিয়ে বাঁধা হয় এক অভিনব গান, যা পরিবেশিত হয় পটচিত্রের (Pattachitra) প্রদর্শনের সময়।

এই শিল্পের মাধুর্যে বাংলার ঐতিহ্যকে (Bengali Heritage) যেমন নতুন রূপ দেওয়া হয়েছে, তেমনি আন্তর্জাতিক পর্যটকদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে বাংলার লোকশিল্পের গৌরব। গান, ছবি এবং আন্তরিক আতিথ্য মিলে পর্যটকদের অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠে স্মরণীয়।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

বাহাদূর চিত্রকর বলেন, “নতুন বছরের থিমে ছবি এঁকে ও গান বেঁধে যখন আমরা রোমানিয়া থেকে আসা অতিথিদের স্বাগত জানালাম, তখন মনে হচ্ছিল, আমাদের ছোট্ট পটপল্লির শিল্প এবার যেন বিশ্বমঞ্চে পৌঁছে গেল। এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।”

এই বিশেষ উদ্যোগ পটচিত্রের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ানোর পাশাপাশি বিদেশের মাটিতেও বাংলার সংস্কৃতি ও শিল্পকে পৌঁছে দেওয়ার সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করেছে। নতুন বছরে এমন আন্তর্জাতিক সংযোগ নিঃসন্দেহে বাংলার লোকশিল্পের জন্য এক নতুন দিগন্তের সূচনা।