নিউজ পোল ব্যুরো: আজকের দিনে যখন মোবাইলের (Mobile) এক ক্লিকেই সিনেমার টিকিট (Movie Ticket) বুক করা যায় তখন কাউন্টারে দাঁড়িয়ে হাতে ছাপানো টিকিট নেওয়াটা যেন স্রেফ নস্টালজিয়া। কিন্তু এ নস্টালজিয়াকেই জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ করে তুলেছেন কলকাতার (Kolkata) বাগুইআটির বাসিন্দা, শিক্ষক দেবাঞ্জন শীল। আধুনিকতার স্রোতে ভেসে যাওয়া সত্ত্বেও যিনি আঁকড়ে ধরেছেন সেই পুরনো দিনের অভ্যাস। সিনেমা হলের (Cinema Hall) কাউন্টার থেকে টিকিট কাটা এবং তা যত্ন করে জমিয়ে রাখা।
আরও পড়ুন: SSC Teachers Protest: “কলকাতায় থাকলে এক মিনিটে সমাধান, মাইনে নিয়ে ভাববেন না” ফের বার্তা মমতার

২০০৩ সালে ‘বোম্বাইয়ের বোম্বেটে’ দেখে লেকটাউনের (Kolkata) জয়া সিনেমা হলে তার যাত্রা শুরু। তখন থেকেই শুরু স্মৃতির সংগ্রহ। প্রথম টিকিটটাই যেমন তার কাছে অমূল্য, তেমনই তার পরের প্রতিটি সিনেমা, প্রতিটি হল, প্রতিটি টিকিটই তার কাছে এক একটি গল্প, এক একটি আবেগ। শহরের রক্সি, প্যারাডাইস, এলিট থেকে শুরু করে উত্তরবঙ্গ, মেদিনীপুর বা বর্ধমান — এমন কোনও জায়গা নেই যেখানে দেবাঞ্জন সিনেমা দেখেননি। তার সংগ্রহে রয়েছে (Kolkata) ১৯৭টি প্রেক্ষাগৃহের মোট ১,০৩৪টি সিনেমা শো-এর টিকিট। শুধু জয়া সিনেমা হল থেকেই সংগ্রহ করেছেন ১৫৪টি টিকিট!
এই অসামান্য নেশাই তাঁকে এনে দিল বিশ্ব দরবারে স্বীকৃতি। সম্প্রতি তাঁর এই অনন্য সংগ্রহ স্থান করে নিয়েছে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। তার কাছে পৌঁছেছে গিনেসের তরফে একটি মেডেল এবং সার্টিফিকেট। আবেগ আর ভালোবাসার মিশেলে গড়ে ওঠা এই যাত্রাপথ যেন সিনেমার চেয়েও বেশি নাটকীয়, বেশি হৃদয়ছোঁয়া।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
আজ যখন একের পর এক সিঙ্গল স্ক্রিন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তখন দেবাঞ্জনের সংগ্রহ শুধু নয়, ইতিহাসের দলিল। তিনি নিজেই এক চলমান সিনেমা সংগ্রহশালা। ভবিষ্যতের জন্য রেখে যেতে চান এই স্মৃতিগুলিকে, যেন একদিন কেউ বলে — “একজন ছিল, যিনি সিনেমাকে শুধু দেখতেন না, ভালোবাসতেন, জমিয়ে রাখতেন।”