Army Attach: লন্ডনের রাস্তায় ভারতীয়দের প্রতিবাদ ও পাক সামরিক অফিসারের বিতর্কিত বার্তা

আন্তর্জাতিক দেশ

নিউজ পোল ব্যুরো: কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে নিরস্ত্র পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হানায় (Pahalgam Attack) গোটা ভারত শোকে স্তব্ধ। নিহতদের আত্মীয়তা যখন কান্নায় ভেঙে পড়ছেন তখন দেশের নানা প্রান্ত থেকে ধ্বনিত হচ্ছে তীব্র প্রতিবাদের (Army Attach) আওয়াজ। কিন্তু এবার এই ক্ষোভ থেমে থাকেনি দেশের সীমান্তে। তা পৌঁছে গেছে বিদেশের মাটিতেও। সম্প্রতি লন্ডনের প্রাণকেন্দ্রে পাকিস্তানের হাইকমিশনের সামনে জড়ো হন একঝাঁক প্রবাসী ভারতীয়, যারা জঙ্গি হামলার বিরুদ্ধে কণ্ঠ মিলিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরব হন।

আরও পড়ুন: Kashmir News: পহেলগাঁও হামলার বদলা নিতে তৎপর ভারতীয় সেনা, একের পর এক বাড়ি গুঁড়িয়ে দিচ্ছে প্রশাসন

বিক্ষোভ চলাকালীনই ঘটে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। হাইকমিশনের বিল্ডিংয়ের বারান্দা থেকে এক পাকিস্তানি সামরিক অফিসার, কর্নেল তৈমুর রাহাত (Colonel Taimur Rahat), হাতে একটি পোস্টার নিয়ে দাঁড়ান। পোস্টারে দেখা যায় অভিনন্দন বর্তমানের ছবি। ভারতীয় বায়ুসেনার (Army Attach) সেই বীর অফিসার যাকে ২০১৯ সালে পাকিস্তানের মাটিতে আটক করার পর কূটনৈতিক চাপে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল ইসলামাবাদ। তবে এখানেই শেষ নয়। কর্নেল রাহাত (Colonel Taimur Rahat) এরপর আরেকটি ভয়ানক বার্তা দেন। তিনি বিক্ষোভরত জনতার দিকে তাকিয়ে গলা কেটে (Throat Slit) ফেলার ইঙ্গিত দেন, যা স্পষ্টতই উসকানিমূলক ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের চেষ্টার শামিল।

এই ঘটনার ভিডিও মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি নিউজপোল বাংলা। ভারতীয় নেটিজেনদের (Army Attach) মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে তীব্র ক্ষোভ। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন এক আন্তর্জাতিক শহরে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক ভবনের বারান্দা থেকে কীভাবে একজন সামরিক অফিসার এমন হুমকির ইঙ্গিত দিতে পারেন?

বিক্ষোভস্থলে উপস্থিত ভারতীয়রা পাকিস্তানকে “সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর” বলে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। অনেকে বলেন, “পাকিস্তানের মদতেই পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Attack) ২৬ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।” ঘটনাস্থলে এক ভারতীয়-ইহুদি বংশোদ্ভূতও বলেন, “আমরা ইহুদিরা ভারতকে সবসময় সমর্থন করি, ওদের বিরুদ্ধে আমরা একসাথে লড়ব।”

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

এই ঘটনার মাধ্যমে শুধু পাকিস্তানের বিতর্কিত ভূমিকাই নয়, বরং তাদের কূটনৈতিক শালীনতা ও মানবিকতার অভাবও আন্তর্জাতিক পরিসরে উঠে এল স্পষ্টভাবে।