নিউজ পোল ব্যুরো: মঙ্গলবার বড়বাজারের হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের (Fire at Burrabazar) পর বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বড়বাজারের মেছুয়া ফলপট্টিতে ঋতুরাজ হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের জেরে মৃত্যু হয়েছে মোট ১৪ জনের। এছাড়া আহত ১৩। ইতিমধ্যেই মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। আর এবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আরও এক বড় সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ Hafiz Saeed : পহেলগাঁওকাণ্ডের নেপথ্যেও ২৬/১১ -এর হাফিজ সঈদ? খতম করা হতে পারে যে কোনও সময়
জানা গিয়েছে, ফলপট্টির এই হোটেলের দ্বিতীয় তলে একটি ডান্স বার তৈরির কাজ চলছিল। আর আগুন লাগে এখানেই। তারপর তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা হোটেলে। উল্লেখ্য, ঋতুরাজ হোটেলের এই দ্বিতীয় তলে কোনও জানালা নেই। বদ্ধ জায়গায় আগুন লাগার ফলে তার ভয়াবহতা কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছিল। মৃত ১৪ জনের মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যুই দমবন্ধ হয়ে হয়েছে। আর একজন নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে কার্নিস থেকে লাফ দিয়েছিলেন। তারপর তাঁর মৃত্যু হয়। অগ্নিদগ্ধ হোটেল পরিদর্শন করার পর মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) মুখেও সেই কথা শোনা গেল।
মমতা (Mamata Banerjee) বলেন, “এখানে অনেক বাড়ির অবস্থাই বেশ বিপজ্জনক। কয়েকদিনের জন্য বাসিন্দাদের সরিয়ে বাড়িগুলি সংস্কার করা হোক। অনেকে বহুতলে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাও নেই।” আর এরপরই এক বড় সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়ে দেন, “এই ধরণের বহুতলের অনুমোদন আর দেওয়া হবে না।” এরই সঙ্গে যোগ করেছেন, “পুরসভা এই অগ্নিকাণ্ডের পৃথক তদন্ত করবে। দমকল আর পুলিশ সারপ্রাইজ ভিজিট করুক। ব্যবসায়িক স্বার্থেও কেউ কেউ আগুন লাগান। আগুন নিয়ে খেলবেন না। কথা না শুনলে পুরসভা, পুলিশ আর দমকল ব্যবস্থা নেবে। এই অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত হবে। আমরা ছাড়ব না।”
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব চ্যানেলের লিংক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=Ygy6shQubNhWstbr
এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান যে হোটেলের সিঁড়ি বন্ধ থাকায় মানুষ নামতে পারেননি। এর আগে বুধবার ঘটনাস্থল ঘুরে আরেকটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছিলেন দমকলের ডিজি রনবীর কুমার। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, ঋতুরাজ হোটেলের অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা থাকলেও তা কার্যকরী ছিল না। শুধু তাই নয়। ফায়ার লাইসেন্স শেষবার নবীকরণ করা হয়েছিল ২০২২ সালে। তারপর থেকে আর হয়নি।”