নিউজ পোল ব্যুরো: যেখানে থাকার কথা ছিল রঙিন বসন্তের ছোঁয়া, সেখানে আজ কেবল আতঙ্কের ছায়া। ফুলে-ফলে ঘেরা কাশ্মীর উপত্যকা যেন আচমকা ঢেকে গেছে এক অদৃশ্য ভয়ের চাদরে। সম্প্রতি পহেলগামে ঘটে যাওয়া (Kashmir Incident) জঙ্গি হামলা যেন আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে ভারত-পাকিস্তান (India-Pakistan) সম্পর্কের টানাপড়েনের আগুনে।
আরও পড়ুন: Pakistan: “আমরা চুপচাপ বসে নেই!” ভারতকে হুঁশিয়ারি পাক সাংসদের
দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের এই রাজনৈতিক উত্তেজনা কাশ্মীরবাসীর (Kashmir Incident) দৈনন্দিন জীবনে নামিয়ে এনেছে অস্থিরতা। পর্যটনের মরসুম এপ্রিল-মে যেখানে সাধারণত ডাল লেকের তীরে পর্যটকদের কোলাহল, গুলমার্গে বরফের মধ্যে মেতে থাকা মানুষের উল্লাস দেখা যায়, সেখানেই আজ নীরবতা (Kashmir Incident)। একের পর এক হোটেল বুকিং (Hotel) বাতিল হয়েছে, বিমানের টিকিট ফেরা পথে।
গুলমার্গের হোটেল ব্যবসায়ী বলেন, “যেখানে প্রতি ঘর আগে থেকে বুক ছিল, সেখানে আজ কেউ নেই। হোটেল ফাঁকা, রাস্তাঘাট শুনশান।”
শ্রীনগরের বাজারে এখনও দোকানপাট খোলা থাকলেও বিক্রি নেই। বিক্রেতারা বলছেন, তারা আগেভাগেই দোকান বন্ধ করে দিচ্ছেন। আতঙ্ক এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস যেমন চাল, গম, রান্নার গ্যাস মজুত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
বারামুলার বাসিন্দা জানান, “যখনই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে, ভুগতে হয় আমাদের। তাই আগে থেকেই ২৫ কেজি চাল কিনে রেখেছি।” মুদির দোকানি জানান, “যতবার এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, আমরা ভুগেছি। তাই অতীত থেকেই শিক্ষা নিচ্ছি।”
অন্যদিকে, প্রশাসন আপাতত চুপ। তবে এক সরকারি কর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, উপরমহল থেকে নির্দেশ এসেছে বাজারে নজর রাখার এবং জরুরি জিনিসের জোগান স্বাভাবিক রাখার।