নিউজ পোল ব্যুরো: তিনিই কখনও কাজল নামের গুজরাটি কনে, কখনও হরিয়ানার সীমা, বিহারের নেহা বা উত্তর প্রদেশের সুইটি। বাস্তব জীবনে তিনি গুলশানা রিয়াজ খান (Gulshana Khan)। মাত্র ২১ বছর বয়সেই যিনি হয়ে উঠেছেন ভারতের এক কুখ্যাত ‘ডাকু দুলহান’ (Daku Dulhan)। নাম পাল্টে, পরিচয় বদলে, ছদ্মবেশে তিনি অন্তত ১২টি ভুয়ো বিয়ে করেছেন। একটাই উদ্দেশ্য, প্রতারণা করে টাকা ও গয়না হাতানো।
আরও পড়ুন: India Strike On Pakistan: ভাতে মারার পরিকল্পনা, পাকিস্তানকে জোড়া অর্থনৈতিক ধাক্কা দিতে চলেছে ভারত
গুলশানার (Gulshana Khan) প্রতারণার ধরন ছিল নাটকীয় ও পেশাদার। প্রথমে বিয়ের জন্য উপযুক্ত পাত্রের সন্ধানে থাকা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ, তারপর নিজের ছায়াময় চরিত্রকে আদর্শ কনে হিসেবে তুলে ধরা। বিশাল আড়ম্বরপূর্ণ বিয়ের আয়োজন, আস্থা অর্জন এবং এরপর কনে ‘অপহরণ’ হয়ে যেত বিয়ের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই। আসলে, এটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত, গ্যাং সদস্যরা মোটরসাইকেলে এসে তাকে ‘উদ্ধার’ করে নিয়ে যেত।
এই চক্রের মূলনায়িকা ছিলেন গুলশানা (Gulshana Khan)। তার সঙ্গে ছিল আরও আট সদস্য, পাঁচ নারী ও চার পুরুষ। নারীরা সামাজিক চালচলনে বিশ্বাস অর্জন করত, পুরুষেরা পালানোর দায়িত্বে থাকত। পুলিশ জানিয়েছে, গুলশানার স্বামী রিয়াজ খান (Riyaz Khan) একজন দর্জি। পুরো প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত এবং লাভের অংশীদারও ছিলেন। প্রতিটি কেলেঙ্কারি থেকে তিনি ৫% ভাগ পেতেন।
চক্রটির মুখোশ খুলে যায় হরিয়ানার (Haryana) এক যুবক সোনুর অভিযোগের পর। ৮০,০০০ টাকা প্রতারণা এবং নববধূর হঠাৎ উধাও হওয়ার ঘটনায় তিনি ১১২ নম্বরে ফোন করলে ইউপি পুলিশ অভিযান শুরু করে।
আম্বেদকর নগরের কাসাদাহ গ্রাম থেকে চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার হয় ৭২,০০০ টাকা নগদ, ১১টি মোবাইল ফোন, সোনার গহনা ও তিনটি জাল আধার কার্ড।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
এসপি কেশব কুমার জানান, প্রতারণা, জালিয়াতি ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। চক্রটি এখন পর্যন্ত ১২টি প্রতারণার কথা স্বীকার করেছে, আরও ভুক্তভোগীর খোঁজ চলছে।