Rahul Gandhi on PM Modi : রাহুলের কথা কেন শুনতে বাধ্য হলেন মোদী?

দেশ

নিউজ পোল ব্যুরো: কংগ্রেস (Congress) আবারও প্রমাণ করল যে সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রশ্নে তাদের অবস্থান শুধুই কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়! দীর্ঘমেয়াদী অঙ্গীকার ও নিরবচ্ছিন্ন দাবির ফলস্বরূপ একটি বড় রাজনৈতিক জয় তারা ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। দীর্ঘ ১১ বছর ধরে মোদী (Rahul Gandhi on PM Modi) সরকারের একগুঁয়ে অবস্থানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে অবশেষে জাতীয় আদমশুমারিতে বর্ণভিত্তিক গণনার দাবি মেনে নিতে সরকারকে বাধ্য করানো নিঃসন্দেহে কংগ্রেসের (Congress) জন্য একটি কৌশলগত মাইলফলক।

আরও পড়ুন: Pakistan Ceasefire Violation: টানা ৯’দিন ধরে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন পাকিস্তানের, পাল্টা জবাব ভারতের

রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) নেতৃত্বে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির (CWC) সাম্প্রতিক বৈঠকে যে বার্তা উঠে এসেছে, তা ছিল অত্যন্ত স্পষ্ট। একটি ইস্যুতে দলীয় অবস্থান দৃঢ় রেখে দীর্ঘস্থায়ী লড়াইয়ের মাধ্যমেই পরিবর্তন আনা সম্ভব। রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi on PM Modi) স্বয়ং জাতীয় পর্যায়ে বর্ণ গণনার দাবিকে প্রথম সারির আলোচনায় নিয়ে এসেছেন। ২০২২ সালের উদয়পুর (Udaypur) ও ২০২৩ সালের রায়পুর (Raipur) অধিবেশনে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরার পাশাপাশি ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ ও সংসদে তার বক্তব্যে বারবার এ বিষয়টি তুলে ধরেছেন।

CWC তাদের প্রস্তাবে রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi on PM Modi) “বর্ণ গণনার সবচেয়ে প্রভাবশালী ও ধারাবাহিক কণ্ঠস্বর” হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তারা সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে, শুধুমাত্র ঘোষণা নয় বরং এটি যেন ‘মহিলা সংরক্ষণ বিল’-এর মতো লোকদেখানো প্রতিশ্রুতি না হয়ে যায়। আদমশুমারি নিয়ে নির্দিষ্ট সময়সীমা বা বরাদ্দ ছাড়াই কেবল রাজনৈতিক সুবিধার জন্য এই ইস্যু যেন ব্যবহার না হয় সেজন্য সংসদে অবিলম্বে বিতর্কের দাবি জানানো হয়েছে।

এছাড়াও, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ প্রসার ও ৫০% সীমা অতিক্রম করার জন্য সংবিধানের ১৫(৫) ধারা সংশোধনের প্রস্তাব সামনে এনেছে কংগ্রেস। ‘সম্বিধান বাঁচাও সমাবেশ’-এর মঞ্চেও এই দাবিকে কেন্দ্রীয় বার্তা হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

শচীন পাইলট ও সাংসদ সপ্তগিরি উলাকা মোদী সরকারের দ্বিচারিতা তুলে ধরে বলেন, “যে নেতা একসময় কংগ্রেসকে ‘শহুরে নকশাল’ বলতেন, তিনিই আজ আমাদের অবস্থান মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন।” জনগণের সঙ্গে বাস্তব সংযোগই শেষ পর্যন্ত রাজনীতিকে বদলে দিতে পারে! এই বার্তা কংগ্রেস এবার স্পষ্টভাবেই পৌঁছে দিতে পেরেছে।