Mission Sindoor: তিন বাহিনীর একসঙ্গে প্রত্যাঘাত, পহেলগাঁও হামলার বদলা নিল ভারত

আন্তর্জাতিক দেশ

নিউজ পোল ব্যুরো: পহেলগাঁওর নির্মম জঙ্গি হামলায় (Pahalgam Attack) ২৬ জন নিরীহ নাগরিকের মৃত্যু! এই রক্তক্ষয়ী ঘটনার প্রতিশোধ নিতে মধ্যরাতে পাকিস্তান (Pakistan) এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নজিরবিহীন স্ট্রাইক চালাল ভারত (India)। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Mission Sindoor) অধীনে ভারতীয় সেনা (Indian Army), নৌবাহিনী (Navy) ও বিমান বাহিনী (Air Force) একযোগে কাজ করে মোট ৯টি কৌশলগত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর এই প্রথমবার তিন বাহিনী একত্রে এত বড়সড় অভিযানে অংশ নিল।

আরও পড়ুন: Operation Sindoor Update: ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাকিস্তানে সন্ত্রাসী শিবিরে আঘাত

এই স্ট্রাইকের (Mission Sindoor) মূল লক্ষ্য ছিল সেই সমস্ত জায়গা, যেগুলি ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। বাহওয়ালপুর, মুরিদকে, গুলপুর, ভিম্বের, চক আমরু, বাঘ, কোটলি, সিয়ালকোট এবং মুজাফফরাবাদ এই নয়টি অঞ্চলে কার্যত তাণ্ডব চালানো হয়েছে। প্রতিটি এলাকাই অতীতে ভারতে জঙ্গি অনুপ্রবেশ, প্রশিক্ষণ ও নাশকতার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে।

বাহওয়ালপুর-এ জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর, যেখানে মাসুদ আজহার ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা একাধিক হামলার ছক কষেছে।

মুরিদকে রয়েছে লস্কর-ই-তৈবার প্রশিক্ষণ শিবির, যেখানে ২৬/১১ মুম্বই হামলার জন্য জঙ্গিদের প্রস্তুত করা হয়েছিল।

কোটলি ও গুলপুর- ব্যবহার হয় আত্মঘাতী ও সীমান্ত চোরাচালানের জন্য।

সাওয়াই, সরজল ও বরনালা- সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের পথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

সিয়ালকোটের মেহমুনা- হিজবুল মুজাহিদিনের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।

ভারতের এই স্ট্রাইকে (Mission Sindoor) শুধুমাত্র জঙ্গি শিবিরগুলি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। পাকিস্তানি সেনা বা তাদের সামরিক পরিকাঠামোর উপর কোনও আঘাত হানা হয়নি, যা ভারতীয় বাহিনীর কৌশলগত দক্ষতা এবং নির্ভুলতার পরিচয়।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

এই অপারেশন আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের কৌশলগত পরিপক্বতা, গোয়েন্দা শক্তি এবং সামরিক ক্ষমতার এক অনন্য প্রদর্শনী। মোদী সরকার (Narendra Modi) দেখিয়ে দিল আঘাতের জবাব এবার মিলবে দ্বিগুণ শক্তিতে, আর সন্ত্রাসের মূলে কুঠারাঘাত করতেই হবে।