নিউজ পোল ব্যুরো: পহেলগাঁওয়ে রক্তঝরা (Pahalgam Terror Attack) এক ভয়াবহ দিন। ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে ২৬ জন নিরীহ ভারতীয়কে গুলি করে হত্যা করেছিল পাকিস্তানি জঙ্গিরা। শহীদের স্ত্রীদের সিঁথির সিঁদুর মুছে (Yogi Adityanath) গিয়েছিল চিরতরে। সেই হৃদয়বিদারক ঘটনার বদলা নিতে ভারত জেগেছিল। ফুঁসে উঠেছিল জনতা এবং শেষমেশ, ভারতীয় সেনা দিল মোক্ষম জবাব “অপারেশন সিঁদুর” (Operation Sindoor)।
আরও পড়ুন: Lahore: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লাহোরে ড্রোন বিস্ফোরণ!
৭ মে গভীর রাতে দেশের গর্বের প্রতীক ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান (Pakistan) ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (Kashmir) ৯টি জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায়। জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তৈবা এবং হিজবুল মুজাহিদিনের মূল ঘাঁটিগুলি ধ্বংস হয়ে যায়। নিহত হয় প্রায় শতাধিক জেহাদি, যার মধ্যে ছিল মৌলানা মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ সদস্যও।
এই অপারেশনের নেতৃত্বে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) । গোটা অভিযান চলেছিল মাত্র ২৫ মিনিট, কিন্তু প্রভাব ছিল বজ্রাঘাতের মতো। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) এই অভিযানকে অভিহিত করেন “ভারতের মেয়েদের সম্মান রক্ষায় লড়াইয়ের প্রতীক” হিসেবে। তাঁর (Yogi Adityanath) হুঁশিয়ারি, “যারা ভারতীয় নারীদের সিঁদুরে আঘাত হানবে, তাদের বংশ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।”
সেদিনই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে সারা দেশে আয়োজিত হয় সিভিল ডিফেন্স মক ড্রিল। উত্তরপ্রদেশেও (Uttarpradesh) অনুষ্ঠিত হয় এই মহড়া, যেখানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী সহ রাজ্যের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। সেখান থেকেই যোগীর বার্তা, “দেশ আগে, দেশ সবার ওপরে। জাতীয় নিরাপত্তা প্রশ্নে কোনও আপস নয়।”
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
তিনি আরও আহ্বান জানান, দেশের প্রতিটি নাগরিককে এগিয়ে এসে সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর পাশে দাঁড়াতে হবে। শুধু হোমগার্ড, এনসিসি নয় প্রত্যেক ভারতীয়র উচিত দেশের রক্ষায় সজাগ থাকা।