Jairam Ramesh on IMF:পাকিস্তানের ঋণের ছাড়পত্র:আইএমএফের সঙ্গে ইন্দিরা গান্ধীর দৃঢ়তার স্মৃতিচারণ জয়রাম রমেশের!

রাজ্য রাশিফল

নিউজ পোল ব্যুরো:আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) যখন পাকিস্তানকে ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করে, তখন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ (Jairam Ramesh on IMF) ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, ইন্দিরা গান্ধী কীভাবে আইএমএফের সঙ্গে দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবিলা করেছিলেন, তা আজও দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।

আরো পড়ুন:https://thenewspole.com/2025/05/11/trumppeaceappeal/

রমেশ (Jairam Ramesh on IMF) জানান, ১৯৮১ সালের নভেম্বর মাসে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও, ইন্দিরা গান্ধী আইএমএফ থেকে ৫.৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ আদায় করতে সক্ষম হন। সেই সময় আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ভারতের অর্থনীতি প্রবল চাপের মুখে পড়েছিল। ইন্দিরা গান্ধী আইএমএফকে বোঝাতে সক্ষম হন যে, এই সংকট মোকাবিলায় ভারতের জন্য ঋণ পাওয়া কতটা জরুরি। তাঁর অসাধারণ নেতৃত্ব এবং বিচক্ষণ কূটনৈতিক দক্ষতা ভারতকে এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করে।

শুধু তাই নয়, রমেশ আরও একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনার উল্লেখ করেন। ১৯৮৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে, তৎকালীন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জি সংসদে বাজেট পেশ করার সময় ঘোষণা করেন, ভারত সফলভাবে আইএমএফের ঋণ কর্মসূচি শেষ করেছে। এমনকি ভারত অনুমোদিত ঋণের অবশিষ্ট ১.৩ বিলিয়ন ডলার গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেয়। রমেশ এই ঘটনাকে আইএমএফের ইতিহাসে এক বিরল দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরেন, যেখানে একটি দেশ সম্পূর্ণ কর্মসূচি শেষ করে অতিরিক্ত অর্থ প্রত্যাখ্যান করেছে।

নিউজ পোল ইউটিউব লিঙ্ক:https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

বর্তমান প্রেক্ষাপটে, যখন ভারত সম্প্রতি পাকিস্তানের জন্য আইএমএফের ঋণ অনুমোদনের ভোটাভুটিতে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থেকেছে, তখন জয়রাম রমেশের (Jairam Ramesh on IMF) এই স্মৃতিচারণ বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তান ক্রমাগত আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদে মদদ জোগাচ্ছে। ভারত মনে করে, এই ধরনের আর্থিক সহায়তা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির নীতি ও আদর্শের পরিপন্থী। ইন্দিরা গান্ধীর সময় ভারত যেভাবে নিজের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করেছিল এবং আইএমএফের উপর প্রভাব বিস্তার করেছিল, বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন রমেশ।

ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্ব শুধু দেশের অভ্যন্তরেই নয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও ভারতের অবস্থানকে সুদৃঢ় করেছিল। তাঁর অর্থনৈতিক নীতি এবং কূটনৈতিক প্রজ্ঞা ভারতকে কঠিন পরিস্থিতিতেও মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শিখিয়েছিল। এই ঘটনা প্রমাণ করে, জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় দৃঢ় পদক্ষেপ এবং বিচক্ষণ কৌশল অবলম্বন কতটা জরুরি।