Yogi Adityanath:যোগী আদিত্যনাথের বোমা ফাটানো দাবি ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ব্রহ্মস ব্যবহার,নীরব দর্শকের ভূমিকায় সেনাবাহিনী!

রাজনীতি রাজ্য

নিউজ পোল ব্যুরো:যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) একটি বিস্ফোরক দাবি ঘিরে জাতীয় রাজনীতি ও সামরিক মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি দাবি করেছেন, ১৯৯৯ সালের পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ অত্যাধুনিক ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। যদিও ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণ মেলেনি, যোগীর এই মন্তব্য ইতিমধ্যেই আলোচনার কেন্দ্রে।

আরও পড়ুন: https://thenewspole.com/2025/05/11/westbengalfoodsecurity/

পহেলগাঁওতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় সেনা ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালনা করে। এর মূল লক্ষ্য ছিল পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির ধ্বংস করা। বিভিন্ন সূত্রে এই অভিযানের সাফল্যের খবর পাওয়া গেলেও, ব্যবহৃত সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে সরকারিভাবে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।

যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) ব্রহ্মস ব্যবহারের দাবি অভিযানটির সামরিক কৌশলকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্রহ্মস তার নির্ভুল আঘাত ও ধ্বংসাত্মক ক্ষমতার জন্য পরিচিত। যদি সত্যিই এই অপারেশনে ব্রহ্মস ব্যবহার হয়ে থাকে, তবে তা ভারতীয় সেনাবাহিনীর কৌশলগত সক্ষমতার গুরুত্বপূর্ণ দিক। তবে, সেনাবাহিনীর নীরবতা এই দাবিকে রহস্যময় করে তুলেছে। সাধারণত, এমন গুরুত্বপূর্ণ অভিযান ও সরঞ্জাম নিয়ে সেনাবাহিনী বিবৃতি দেয়। সেনার নীরবতা প্রশ্ন জাগায় – কেন নিশ্চিতকরণ নেই? যোগীর দাবির ভিত্তি কী? নাকি এটি কৌশলগত গোপনীয়তা?

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

বিভিন্ন মহল থেকে এই বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত উঠে আসছে। কিছু সামরিক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, যদি জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো তথ্য গোপন রাখার প্রয়োজন হয়, তবে সেনাবাহিনী নীরব থাকতেই পারে। আবার, কিছু রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, যোগী আদিত্যনাথের এই মন্তব্য আসন্ন নির্বাচনকে মাথায় রেখে করা হতে পারে।তবে, আসল সত্য যাই হোক না কেন,’অপারেশন সিঁদুর’-এ ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের যোগী আদিত্যনাথের দাবি এবং সেই বিষয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর নীরবতা বর্তমানে একটি বহুল আলোচিত বিষয়।যতক্ষণ না সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো স্পষ্টীকরণ আসছে,ততক্ষণ পর্যন্ত এই জল্পনা অব্যাহত থাকবে এবং এই অভিযানের সামরিক দিকটি রহস্যের চাদরে ঢাকা থাকবে।এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য সকলেরই এখন নির্ভরযোগ্য সংবাদমাধ্যমের দিকে নজর রাখা উচিত।