West Bengal food security:যুদ্ধ পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তা!তিন মাসের মজুত পরিকল্পনা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের

রাজনীতি রাজ্য

নিউজ পোল ব্যুরো:যুদ্ধ বা অন্য কোনো আকস্মিক দুর্যোগের মোকাবিলায় খাদ্য সরবরাহ অক্ষুণ্ণ রাখতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তিন মাসের খাদ্য (West Bengal food security) মজুত করার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নবান্নের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা রাজ্যের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সম্ভাব্য সংকটকালে সাধারণ মানুষের দুশ্চিন্তা কমাতে সহায়ক হবে।

আরো পড়ুন:https://thenewspole.com/2025/05/11/bangladeshpolitics/

এই মজুত পরিকল্পনার আওতায় চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি, আটা, ময়দা, মশলাপাতি এবং আলু, পেঁয়াজ, রসুনের মতো অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যসামগ্রী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সরকার মনে করছে, আন্তর্জাতিক বা অভ্যন্তরীণ অস্থিরতায় এই মজুত রাজ্যের প্রায় দশ কোটি মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং এই উদ্যোগের তদারকি করছেন এবং খাদ্য দপ্তরের কর্মকর্তাদের মজুত প্রক্রিয়া দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন। খাদ্যদ্রব্যের গুণমান বজায় রাখা এবং মজুতের স্থানগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উপরও তিনি জোর দিয়েছেন। প্রতিটি জেলার জেলাশাসক ও মহকুমাশাসকদের এই প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সরকারি গুদামের পাশাপাশি প্রয়োজন অনুযায়ী বেসরকারি গুদামও ভাড়া নিয়ে খাদ্যদ্রব্য মজুত করা হবে। মজুত করা খাদ্যসামগ্রীর (West Bengal food security) গুণমান নিয়মিত পরীক্ষার জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও খাদ্য সংকটের আশঙ্কার মধ্যে এই সিদ্ধান্ত তাঁদের মনে স্বস্তি এনেছে।

নিউজ পোল ইউটিউব লিঙ্ক:https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

তবে, মজুত করা খাদ্যদ্রব্যের (West Bengal food security) নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু বিতরণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। অতীতে সরকারি মজুতের খাদ্য নষ্ট হওয়া বা কালোবাজারিতে যাওয়ার উদাহরণ রয়েছে। তাই সরকার কঠোর নজরদারি ও স্বচ্ছ বিতরণ নীতির উপর জোর দিয়েছে। রেশন দোকানের মাধ্যমে ন্যায্য মূল্যে খাদ্য সরবরাহ এবং জরুরি পরিস্থিতিতে ত্রাণ হিসেবে বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে। পঞ্চায়েত ও পৌরসভা স্তরের জনপ্রতিনিধিদেরও বিতরণ প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা হবে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই উদ্যোগ সময়োপযোগী। বিশ্বব্যাপী অস্থিরতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খাদ্য নিরাপত্তা একটি বড় উদ্বেগের কারণ। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের আগাম প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। তবে, শুধু মজুত নয়, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন। কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান এবং উন্নত বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করা উচিত।

পরিশেষে বলা যায়, তিন মাসের খাদ্য মজুত রাখার সিদ্ধান্ত একটি সাহসী পদক্ষেপ। এর সাফল্য নির্ভর করছে মজুত ও বিতরণ ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও দক্ষতার উপর। সরকার যথাযথ মনোযোগ দিলে এই উদ্যোগ রাজ্যের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।