নিউজ পোল ব্যুরো: সংঘর্ষ বিরতিতেও যুদ্ধের আবহ ভারত (India) এবং পাকিস্তানে (Pakistan)। এই পরিস্থিতিতে সোমবার আলোচনায় বসতে চলেছে দুই দেশ। তার আগে এদিন সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই বৈঠকে ভারতের ভূমিকা কেমন হতে পারে তা জানিয়ে দিলেন প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি নেতা (BJP Leader) দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।
আরও পড়ুনঃ Dilip Ghosh : বাংলাদেশ নিমকহারাম! আর পাক সেনার দম নেই ভারতের সঙ্গে লড়ার!
আজকের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ভারতের কী কী চেয়ে নেওয়া উচিত? এই প্রশ্ন করা হলে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “পাকিস্তান চুক্তি ভঙ্গ করবে এটা নতুন কিছু নয়। সিমলা থেকে সব চূক্তিই লঙ্ঘন করেছে। ওদের বিশ্বাস করা ঠিক নয়। ভারত যোগ্যতার সঙ্গে তার জবাব দিয়েছে। তুরস্কের ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেন রাশিয়াকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল, ওই একই ড্রোন আমাদের সেনা মাঝপথে ধ্বংস করে নামিয়ে দিয়েছে।” আরও বলেন, “আমরা কী করতে পারি তা আমরা দেখিয়ে দিয়েছি। যুদ্ধ হবে কি হবে না সেটা নিয়ে দু’রকমের মতামত আছে। পরবর্তী কী পদক্ষেপ হবে সেটা মাথায় রেখেছেন এই বিষয়ের ভারপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞরা। তার ওপর ভিত্তি করেই আজ কথা হবে।

পাকিস্তানের অবস্থা রীতিমত কোণঠাসা। এই অবস্থার সুযোগ নিয়ে ভারতের কি পাক অধিকৃত কাশ্মীর চেয়ে নেওয়া উচিৎ? এই প্রশ্নও রাখা হয় দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) কাছে। যার জবাবে বঙ্গ বিজেপির (BJP Bengal) প্রাক্তন সভাপতি বলেন, “দেশে একটা উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল। পাকিস্তানকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য দেশ তৈরি ছিল। মাঝপথে যুদ্ধ বন্ধ হয়েছে। সরকার এটা নিয়ে পরে নিশ্চয়ই কিছু বলবে। জনতা এখনও চায় বাঁশ থাকবে না বাঁশিও বাজবে না। এরকম পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। আজাদ কাশ্মীর আজ না হয় কাল আমাদের দখলে আসবেই। বড় বড় দেশ চাইবে না যুদ্ধ হোক। কারণ তা হলে আর্থিক মন্দা তৈরি হয়। বাজার নষ্ট হয়। বিভিন্ন দেশের যুদ্ধে ইউরোপ, আমেরিকা আর্থিকভাবে ধাক্কা খেয়েছে। ভারতের মত বড় এবং দায়িত্বশীল দেশ অনেক কিছু বিবেচনা করে এগোচ্ছে। তাই আজকের বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ।”
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব চ্যানেলের লিংক: https://youtube.com/@newspolebangla?si=Ygy6shQubNhWstbr
এদিকে ভারত-পাক সংঘর্ষের মাঝে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় ঢুকে পড়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড (Donald Trump)। তাঁর কথাতেই পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী (Narendra Modi), এমন চর্চাই চলছে দেশজুড়ে। আর এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ করেই ইন্দিরা গান্ধীর (Indira Gandhi) জয়গানে মুখর কংগ্রেস (Indian National Congress)। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “ইন্দিরা গান্ধীর আগে এবং পরে কংগ্রেস অনেকগুলো যুদ্ধ করেছে। তার ফল তো দেখাই যাচ্ছে। আজাদ কাশ্মীর হল কীভাবে? সেই সময় আজাদ কাশ্মীর কেন নিয়ে নেননি ইন্দিরা গান্ধী? সেইসময় তো পূর্ব বঙ্গের খুলনা, যশোর জেলা আমাদের নিয়ে নেওয়ার কথা ছিল। কেন নেননি? তাহলে তো বাংলাদেশ ইস্যুর সমাধান হয়ে যেত।” এরই সঙ্গে যোগ করেছেন, “বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নেতা যুদ্ধ নিয়ে তাদের মত করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজকের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। অটলবিহারী বাজপেয়ী বা নরেন্দ্র মোদী যা করেছেন সেটা আগে কোনওদিনই কংগ্রেস করতে পারেনি।”