নিউজ পোল ব্যুরো: নিউটাউনের (NewTown) শাপূর্জি আবাসনে ই ব্লকের একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় ২৬ বছর বয়সী সৃঞ্জয় মজুমদারের (Rinku Majumdar Son’s)নিথর দেহ। সৃঞ্জয়, ডাকনামে প্রীতম, ছিলেন এক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী। মা রিঙ্কু মজুমদার (Rinku Majumdar) ও সদ্য বিবাহিত স্বামী দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছিল।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh : ইন্দিরা গান্ধী কেন কাশ্মীর ফিরিয়ে আনতে পারেননি? প্রশ্ন তুললেন দিলীপ
দেহটি (Rinku Majumdar Son’s) প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় নিউটাউনের (NewTown) একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে, যেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর তার মৃতদেহ পাঠানো হয় আর জি কর মেডিকেল কলেজে (RGKar Medical College) ময়নাতদন্তের জন্য।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না। তবে তারা বলছে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিছু বলা সম্ভব নয়।
ঘটনার পর থেকেই রিঙ্কু মজুমদার (Rinku Majumdar) সহ পরিবারের অন্য সদস্যদের কেউ এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। সৃঞ্জয়ের (Rinku Majumdar Son’s) মৃত্যু যেন পরিবার ও সমাজের উপর এক ধাক্কা হয়ে এসেছে। মাসখানেক আগে রিঙ্কু ও দিলীপ ঘোষের বিবাহ পর্বে সৃঞ্জয়ের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তখন তিনি জানিয়েছিলেন, ছুটি নিয়ে ইতিমধ্যেই বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়ে গেছে, তাই বিয়েতে থাকতে পারছেন না। তবে মায়ের নতুন জীবনের প্রতি ছিল পূর্ণ সমর্থন।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
আজ, সেই প্রীতম আর নেই। তাঁর মুখে আর কোনো শব্দ উঠবে না। জীবনের এক অপূর্ণ অধ্যায় রেখে চলে যাওয়া এই তরুণের মৃত্যু ঘিরে এখন শুধুই প্রশ্ন—হতাশা, মানসিক চাপ, না কি অন্য কোনো অজানা কারণ? উত্তর খুঁজছে পুলিশ।