নিউজ পোল ব্যুরো: পাকিস্তানের ড্রোন হামলায় পাঞ্জাবের (Punjab) ফিরোজপুরে এক সাধারণ ভারতীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে—এই ঘটনাটি কাশ্মীরের (Kashmir) বাইরেও পাকিস্তানের (Pakistan) আগ্রাসনের ভয়াবহতা স্পষ্ট করে তুলছে। প্রয়াত ওই নারীর নাম সুখবিন্দর কৌর, বয়স আনুমানিক ৫০। তিনি ফিরোজপুর জেলার খাই ফেমেকি গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: S-400: ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষার ‘সুদর্শন চক্র’
গত শুক্রবার, একটি পাকিস্তানি ড্রোন আচমকাই তাঁদের গাড়ির ওপর আছড়ে পড়ে। তীব্র বিস্ফোরণের ফলে মুহূর্তে দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে গাড়িটি। দগ্ধ হন সুখবিন্দর কৌর, তাঁর স্বামী লখবিন্দর সিং এবং আত্মীয় মনু সিং। দ্রুত তাঁদের লুধিয়ানার এক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তবে সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে মঙ্গলবার সকালে (Punjab) মারা যান সুখবিন্দর। হাসপাতাল সূত্র জানায়, তাঁর শরীরের বেশিরভাগ অংশই পুড়ে গিয়েছিল। বাকি দু’জন এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
গত ২২ এপ্রিল, কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে লস্কর-সহযোগী সংগঠন TRF-এর জঙ্গিরা ২৬ নিরস্ত্র মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তার প্রতিশোধে ৭ মে “অপারেশন সিঁদুর” (Operation Sindoor) নামক এক অভিযান চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা। এই অভিযানে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের অন্তত ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস হয় এবং প্রায় ১০০ জন জঙ্গির মৃত্যু ঘটে।
এই পাল্টা আঘাতের জবাবে পাকিস্তান পাঞ্জাব (Punjab) ও রাজস্থানের (Rajasthan) মতো সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে ড্রোন হামলা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটে সুখবিন্দরের মর্মান্তিক মৃত্যু। পালটা ভারতের প্রতিক্রিয়াও ছিল তীব্র—লাহোর, করাচি-সহ একাধিক পাক শহরে হামলা চালায় ভারত।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
শেষ পর্যন্ত সংঘর্ষে ক্রমাগত ক্ষতির মুখে পড়ে গত শনিবার শান্তির প্রস্তাব নিয়ে এগিয়ে আসে ইসলামাবাদ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বারংবার ব্যর্থতা ও পরাজয়ের ইঙ্গিত পেয়েই যুদ্ধবিরতির পথে হাঁটতে বাধ্য হয় শাহবাজ শরিফের সরকার।