Dilip Ghosh: যে সরকার নিজের কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকার দিতে পারে না, তারা ক্ষমতায় থাকার যোগ্যতা রাখে না : দিলীপ ঘোষ

কলকাতা রাজনীতি রাজ্য

নিউজ পোল ব্যুরো: শনিবার সকালে নিউটাউনের ইকো পার্কে (Newtown Ecopark) প্রাতঃভ্রমণে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। বিভিন্ন ইস্যুতে তাঁর মন্তব্য যথারীতি ছিল সোজাসাপ্টা ও রাজনৈতিকভাবে তীব্র।

আরও পড়ুন: Dilip Ghosh : “মমতার জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ জিতল ভারত!” শাসককে ফের খোঁচা দিলীপের

পাকিস্তান ইস্যুতে শক্ত অবস্থান
দেশের বর্তমান মনোভাব স্পষ্ট করে দিলীপবাবু (Dilip Ghosh) বলেন, “প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) আগেই বলেছিলেন ঘরে ঢুকে মারব, এখন সেনা আরও এক ধাপ এগিয়ে বলছে, বাথরুমে ঢুকে মারব। কারণ ওরা ভয় পেয়ে বাথরুমে লুকিয়ে পড়ে। আজ ভারতের মেজাজ এমন জায়গায় পৌঁছেছে যেখানে সমালোচকরাও স্তব্ধ। পাকিস্তান তো চুপ, তাদের পৃষ্ঠপোষকরাও চুপ। যারা যুদ্ধ পরিস্থিতি থেকে রাজনৈতিক সুবিধা তুলত, তারাও এখন নিশ্চুপ। ভারতের শক্ত প্রতিক্রিয়াই এই বদলের কারণ।”

ডিএ মামলায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
সরকারি কর্মীদের ডিএ সংক্রান্ত মামলায় আদালতের রায়কে সমর্থন করে তিনি (Dilip Ghosh) বলেন, “এটা প্রথম নয়, এর আগেও আদালত সরকারি কর্মীদের পক্ষে রায় দিয়েছে। কিন্তু সরকার বারবার বলেছে টাকা নেই। যে সরকার নিজের কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকার দিতে পারে না, তারা ক্ষমতায় থাকার যোগ্যতা রাখে না। আইন আদালতকে যখন খুশি মানা আর অস্বীকার করা এক স্বেচ্ছাচারী মনোভাবের পরিচয়। এবার মানুষকে ঠিক করতে হবে, আলাদা আলাদা আন্দোলনে নিজেদের দাবী আদায় করবেন, নাকি সরকারকে বদলে নিজেদের অধিকার ছিনিয়ে নেবেন।”

বিকাশ ভবন পরিস্থিতি ও পুলিশের ভূমিকা
শিক্ষক আন্দোলন প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “পুলিশ এখন দাবি করছে সহিংসতা আগে থেকে পরিকল্পিত ছিল। অথচ প্রশ্ন হচ্ছে, প্রথম কে আঘাত করেছিল? শিক্ষকরা যখন শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করছিলেন, তখন তাদের লাঠিপেটা করা হলো কেন? পায়ে প্রণাম করার পরিবর্তে লাথি মারা হলো কেন? পুলিশের এই কুযুক্তি মানুষ আর মেনে নেবে না। আদালতে সরকারের বলা উচিত—এই ১৮ হাজার প্রার্থী যোগ্য, আমরা চাকরি দিতে চাই। সেই সাহস আছে কি?”

সব্যসাচী দত্ত ও কেষ্টর প্রসঙ্গ
বিকাশ ভবনে সব্যসাচী দত্তের উপস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, “আমি জানি না তিনি কেন গিয়েছিলেন। তবে তার আচরণ ও ভাষায় বোঝা গিয়েছিল পরিস্থিতি জটিল করছে। অহেতুক বিতর্ক তুলে আন্দোলনকারীদের উসকানোর প্রয়োজন ছিল না।”

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

বীরভূম প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, “কেষ্ট (Anubrata Mandal) যে সভাপতি নন তা সবাই জানে। মমতা নিজে সব দেখছেন বললেও তার ফল আমরা চোখের সামনে দেখছি।”