India Global Message: সন্ত্রাসবিরোধী বার্তা বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দেবেন ৭ সাংসদ, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থারুরকে বাছলেন মোদী

দেশ

নিউজ পোল ব্যুরো: নতুন আঙ্গিকে পুরোনো বার্তা। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) জোরালো বার্তা বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে কেন্দ্র গঠন করল সাতটি সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল (India Global Message)। এই দলগুলোর নেতৃত্বে থাকছেন দেশের সাত প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, যাঁরা ভারতের একতা ও সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থান আন্তর্জাতিক মহলের সামনে তুলে ধরবেন।

আরও পড়ুন: Imran Khan Sons: ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে আন্তর্জাতিক সমাজের দ্বারে দুই পুত্রের আবেদন: ট্রাম্পের দিকেই তাকিয়ে পরিবার

শনিবার কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রক এক বিবৃতিতে এই সাত নেতার নাম প্রকাশ করেছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijuju) সেই বিবৃতি সমাজমাধ্যমে শেয়ার করে বলেন, “জাতীয় স্বার্থে ভারত এককাট্টা। রাজনীতি একদিকে, দেশপ্রেম অন্যদিকে। এই সাতটি প্রতিনিধিদল (India Global Message) তারই প্রমাণ।”

নেতৃত্বে থাকছেন কংগ্রেসের শশী থারুর (Shashi Tharoor), বিজেপির রবিশঙ্কর প্রসাদ (Ravi Shankar Prasad), জেডিইউয়ের সঞ্জয় কুমার ঝা, তামিলনাড়ুর কানিমোঝি করুণানিধি (ডিএমকে), এনসিপির সুপ্রিয়া সুলে, বিজেপির বৈজয়ন্ত পাণ্ডা এবং শিবসেনার শ্রীকান্ত শিন্ডে। তবে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস কোনও প্রতিনিধি দিচ্ছে না। দলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্যগত কারণে যেতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন।

এই প্রতিনিধিদলগুলি রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্র সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দেশে সফর করবে। তারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরবে (India Global Message) ভারতের ‘জিরো টলারেন্স ফর টেররিজম’ (Zero Tolerance For Terrorism) নীতি এবং ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) সাফল্য। এই অভিযানে পাকিস্তানের (Pakistan) মাটিতে থাকা একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে, যার মাধ্যমে ভারত কঠোর বার্তা দিয়েছে সন্ত্রাসবাদীদের।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে মোদী (Narendra Modi) সরকার কৌশলীভাবে বিরোধীদেরও পাশে এনে ভারতের ঐক্য জাহির করছে। এতে আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের অবস্থান শক্তিশালী হবে এবং দেশের অভ্যন্তরেও সমালোচনার জায়গা কমবে। শশী তারুরের মতো বিরোধী দলের নেতার সক্রিয়তা কংগ্রেসে বিতর্কের জন্ম দিলেও, আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে তা ভারতের পক্ষে বড় লাভ বলেই মনে করছেন অনেকে।