জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর দলে বড় কোনও পদ পাননি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)।জেলা সভাপতির পদ হারানোর পর বীরভূম জেলার রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ এখন তৃণমূলের কোর কমিটির হাতে। এই পরিস্থিতিতে রবিবার কোর কমিটির বৈঠকে অনুব্রত মণ্ডলের উপস্থিতি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে। দীর্ঘদিন পর আয়োজিত এই বৈঠকে অনুব্রত মণ্ডলের ঘোর বিরোধী কাজল শেখও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:https://thenewspole.com/2025/05/18/india-strikes-back-amit-shah-sindoor/
বৈঠক চলাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুব্রত মণ্ডলকে ফোন করেন। তাদের মধ্যে কী কথা হয়েছে, তা জানা না গেলেও, রাজনৈতিক মহলে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দলের সঙ্গে মানিয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। কোর কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ২০২৬ সালের নির্বাচন পরিচালনা করবে এই কমিটিই।
বৈঠক শেষে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) বলেন, “পদের মায়া আমি করি না। পদ না পেলে আমার অম্বল হয়ে যাবে এমনটা নয়। চাইলে আমি আগেই বিধায়ক, সাংসদ হতে পারতাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে রাজ্যসভার সাংসদ হতে বলেছিলেন, আমি হইনি। জেল যখন খেটেছি, তখন অন্য দলে যাব না। অন্য দলে গেলে তো আর জেল খাটতে হত না।”
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
কাজল শেখ বৈঠককে ‘একশো শতাংশ সফল’ বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী কোর কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। বীরভূম জেলা চালাবে কোর কমিটিই। বিগত দিনে অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখকে এক মঞ্চে দেখা গিয়েছে, ভবিষ্যতেও দেখা যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কাজ করব। নেতা হওয়ার লোভ আমার নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে নির্দেশ দেবেন, তা পালন করাই আমার কাজ।”
আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বৈঠকটি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে হয়েছে এবং দল ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। তবে, অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখের দ্বন্দ্ব মিটল কি না, তা স্পষ্ট নয়। যদিও কাজল শেখ ভবিষ্যতে একসঙ্গে কাজ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। কোর কমিটিই আগামীতে সব সিদ্ধান্ত নেবে, তাই এই দ্বন্দ্বের নিষ্পত্তি সম্ভব কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।