পহেলগাঁওয়ের বর্বরোচিত জঙ্গি হামলার পর ভারত তার কঠোরতম প্রত্যাঘাত হানল। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর অধীনে ভারতীয় সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে দুঃসাহসিক অভিযান চালিয়ে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে। এই অভিযানে প্রায় ১০০ জন দুর্ধর্ষ জঙ্গি নিহত হয়েছে। এই সাফল্যের কথা জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এই আবহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) আমদাবাদে তিরঙ্গা যাত্রার নেতৃত্ব দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:https://thenewspole.com/2025/05/18/bikash-bhaban-police-action-teachers-protest-ssc/
পহেলগাঁওয়ের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর জঙ্গিদের খোঁজে কাশ্মীর উপত্যকাজুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে এসআইএ। মধ্য ও উত্তর কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে। এর আগে দক্ষিণ কাশ্মীরেও জঙ্গিদমন অভিযানে সাফল্য মিলেছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্র মারফত জানা গেছে, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ভারতীয় সেনাবাহিনী অভাবনীয় রণকৌশল দেখিয়েছে। মাত্র তিন ঘণ্টার অভিযানে পাকিস্তানের ১১টি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চীনের সরবরাহ করা অত্যাধুনিক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এড়িয়ে ভারতীয় বায়ুসেনার রাফাল, স্ক্যাল্প মিসাইল এবং হ্যামার বম্ব নির্ভুল নিশানার প্রমাণ দিয়েছে। এই অভাবনীয় অভিযানটি মাত্র ২৩ মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
এই অভিযানের মাধ্যমে ভারত শুধু তার শত্রুদেরই কড়া বার্তা দেয়নি, বরং পাকিস্তান সহ গোটা বিশ্বকে দেখিয়েছে যে দেশের উপর আঘাত এলে, ভারত প্রত্যাঘাত করতে সক্ষম। পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জইশ ও লস্করের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীর হেডকোয়াটার্স, ট্রেনিং সেন্টার ধ্বংস করার পাশাপাশি, এই প্রথমবার ভারত একটি পরমাণু শক্তিধর দেশের (পাকিস্তান) আকাশসীমায় ঢুকে তাদের এয়ারবেসে সফলভাবে আঘাত হেনেছে। হামলায় পাকিস্তানের একাধিক যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে এবং বায়ুসেনা শত্রু দেশের প্রায় ২০ শতাংশ বিমান পরিকাঠামো গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। শুধু ভোলারি এয়ারবেসেই বহু পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
উল্লেখ্য, এর আগে ৭ মে তারিখে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটিতে আঘাত হানতে ভারত ব্রহ্মোস ব্যবহার করেছিল। একই দিনে রাফাল যুদ্ধবিমান দিয়েও পাকিস্তানি আকাশসীমাকে নাস্তানাবুদ করে দেয় বায়ুসেনা। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর এই বিশাল সাফল্য ভারতের সামরিক ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছে। অমিত শাহের (Amit Shah) তিরঙ্গা যাত্রা এই ঐতিহাসিক বিজয়ের উদযাপন।