Operation Sindoor Controversy: স্বাধীনতা না কি স্বেচ্ছাচার? অধ্যাপকের মন্তব্যে তোলপাড় দেশ

দেশ

নিউজ পোল ব্যুরো: অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Ashoka University) অধ্যাপক আলি খান মেহমুদাবাদের (Professor Ali Khan) বিরুদ্ধে অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor Controversy) ও কর্নেল সোফিয়া কুরেশিকে (Sofiya Qureshi) ঘিরে করা মন্তব্যের জেরে ওঠা বিতর্ক নতুন মাত্রা পেল। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) তাকে অন্তর্বর্তী জামিন দিলেও কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করল। বিচারপতি সূর্য কান্ত (Surya Kant) ও এন. কোটিশ্বর সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানায়, “এমন সময়ে যখন দেশ বিদেশি সন্ত্রাসীদের আক্রমণের মুখে, তখন একজন শিক্ষিত ব্যক্তি হিসেবে দায়িত্বশীলতা থাকা উচিত। সস্তা প্রচারের আকাঙ্ক্ষা কি বুদ্ধিজীবীর পরিচয়?”

আরও পড়ুন: Maoist: মাওবাদী-উচ্ছেদে ঐতিহাসিক সাফল্যের পথে ‘অপারেশন সংকল্প’

আদালতের মতে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকলেও তা দায়িত্ববোধহীনভাবে ব্যবহার করা যায় না। সংবেদনশীল পরিস্থিতিতে (Operation Sindoor Controversy) বিভ্রান্তিকর মন্তব্য দেশের ঐক্য ও সংহতির পরিপন্থী হতে পারে। বিচারপতিরা বলেন, “যখন সন্ত্রাসীরা আমাদের দেশের নাগরিকদের নিশানা করছে, তখন এমন মন্তব্য শুধু দুঃখজনকই নয়, বরং বিপজ্জনকও।”

এই প্রেক্ষাপটে, অধ্যাপকের বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। হরিয়ানা পুলিশকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি বিশেষ তদন্ত দল (SIT) গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়, তবে শর্ত দেওয়া হয়—এই দলে হরিয়ানা (Haryana) ও দিল্লির (Delhi) কোনও পুলিশ আধিকারিক থাকবেন না। সেই সঙ্গে একজন মহিলা আধিকারিক থাকা বাধ্যতামূলক বলে জানানো হয়েছে।

সম্প্রতি পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় (pahalgam Terror Attack) নিরীহ পর্যটকদের হত্যা করা হয়, যার জবাবে ভারত শক্তিশালী পাল্টা প্রতিরোধ দেয়। এই প্রেক্ষিতে কর্নেল সোফিয়া কুরেশি (Sofiya Qureshi) ও উইং কমান্ডার ভ্যোমিকা সিং (Vyomika Singh) সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্য ভূমিকায় উঠে আসেন। তাদের উপস্থিতি শুধুমাত্র প্রতিরক্ষা সাফল্যের প্রতীক নয়, বরং ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতারও প্রতিচ্ছবি।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

এমন পরিস্থিতিতে অধ্যাপক মেহমুদাবাদের মন্তব্য, যেখানে তিনি পুরো ঘটনাটিকে নাটক এবং সরকারের ‘লোকদেখানো উদ্যোগ’ বলে অভিহিত করেন, তা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। এক্স-এ পোস্ট করা তার বক্তব্যে তিনি বলেন, “এই ‘অভিনয়’ আসলে সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা।” এই মন্তব্যের পরপরই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া আসে নেটমাধ্যমে, এবং হরিয়ানা মহিলা কমিশনের নোটিসের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।