Airspace : চরম এয়ার টার্বুল্যান্সে ২২৭ জনের প্রাণের ঝুঁকি, ভারতীয় পাইলটের অনুরোধ সত্বেও আকাশসীমা ব্যবহারে না পাকিস্তানের

breakingnews দেশ

নিউজ পোল ব্যুরো: পাকিস্তান যে ভারতের চরম শত্রু তা আরও একবার প্রমান করেছে। মুখেই বিশ্বের কাছে ভালো সাজার নাটক করে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে আরও একবার। বুধবার হঠাৎ শিলাবৃষ্টির সম্মুখীন হওয়া দিল্লি-শ্রীনগরগামী ইন্ডিগোর বিমান মাঝ আকাশে চরম এয়ার টার্বুল্যান্সের সম্মুখীন হয়। সেই সময়ে যাত্রী ছিলেন ২২৭ জন। চারিদিকে সমূহ বিপদ দেখে বিমানের পাইলট বিমানের যাত্রীদের প্রাণ রক্ষার জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা (Airspace) কিছুক্ষণের জন্য ব্যবহার করার অনুরোধ করে। কিন্তু পাকিস্তান এতটাই অমানবিক যে ভয়ানক সেই বিপদেও সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে। এই খবর সামনে আসতেই আরও একবার মুখ পুড়ল পাকিস্তানের।

বুধবার ২২৭ জন যাত্রী নিয়ে ইন্ডিগোর 6E2142 বিমান দিল্লি থেকে শ্রীনগরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। অমৃতসরের উপর দিয়ে যাওয়ার সময়ে হঠাতই আবহাওয়া খারাপ হয়ে জায়। শুরু হয় তুমুল ঝড়বৃষ্টি। হচ্ছিল শিলাবৃষ্টিও। বাতাসের প্রবল গতির কারণে বিমানকে ঠিক রাখা কঠিন হয়ে অঠে পাইলটের কাছে। বিমান সহ যাত্রীদের বাঁচার একমাত্র উপায় ছিল পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার। তাই পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহারের জন্য লাহোর এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের( (ATC)) কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন পাইলট। কিন্তু সাহায্য তো দূর উল্টে না করে দেওয়া হয়। তারপর শ্রীনগর এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলকে (ATC)-কে বিষয়টি জানানো হয়। পাক আকাশসীমা ব্যবহারে অনুমতি না পাওয়ায় অগত্যা বাধ্য হয়েই ওই ঝড়-ঝঞ্চার মধ্যে দিয়ে ২২৭ জন যাত্রীদের নিয়ে নির্ধারিত পথেই এগিয়ে চলে বিমান। শিলাবৃষ্টিতে ভেঙ্গে যায় বিমানের সামনের অংশ। অই অবস্থাতেই সৌভাগ্যক্রমে ল্যান্ড করে বিমান।

আরও পড়ুনঃ Abhishek Banerjee in Japan: আন্তর্জাতিক মঞ্চে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান জোরালো, পাশে জাপান

উল্লেখ্য, পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে, পাকিস্তানের আকাশসীমা (Airspace) ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলির জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভারতও পাকিস্তান বিমান সংস্থাগুলির জন্য তার আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। তবে চরম বিপদে যেখানে ২২৭ জনের প্রাণের বিষয় রয়েছে সেখানে কেউ যে এতটা অমানবিক হতে পারে তা পাকিস্তানকে না দেখলে বোঝাই যেত না। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে, ইন্ডিগো জানিয়েছে যে ২১ মে, ২০২৫-এ দিল্লি থেকে শ্রীনগরগামী ফ্লাইট ৬ই ২১৪২ হঠাৎ শিলাবৃষ্টির সম্মুখীন হয়। তবে পরে শ্রীনগর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করেছিল। সেই বিমানেই ছিলেন তৃণমূলের ৫ প্রতিনিধিও। বিমানে থাকার সময় তৃণমূল সাংসদ সাগরিকা ঘোষ সেই অভিজ্ঞতা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়েছেন।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT