Supreme Court: অন্যায়ের বিরুদ্ধে অপারেশন: ‘অপারেশন সিঁদুরে’ অংশ নেওয়া বায়ুসেনা আধিকারিকের পাশে দাঁড়াল সুপ্রিম কোর্ট

দেশ

নিউজ পোল ব্যুরো: দেশের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়া কোনও নারীসেনা যদি আজ নিজ অধিকার পেতে আদালতের (Supreme Court) দ্বারস্থ হন, তবে সেটা শুধু একজনের লড়াই নয়, সেটা হয়ে দাঁড়ায় হাজারো নারীর আত্মমর্যাদার প্রশ্ন। উইং কম্যান্ডার নিকিতা পাণ্ডে (Nikita Pandey), যিনি ‘অপারেশন বালাকোট’ (Operation Balakot) ও ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) মতো উচ্চঝুঁকিপূর্ণ অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, আজ সেই লড়াইয়ের মুখ হয়ে উঠেছেন।

আরও পড়ুন: Alia Bhatt: নেপথ্যে ভারত পাকিস্তানের যুদ্ধ, তার মধ্যে চমক নিয়েই কান-চলচ্চিত্রে আলিয়া! সব জল্পনায় ইতি

নিকিতা পাণ্ডে (Nikita Pandey) দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় বায়ুসেনায় (Air Force) স্বল্পমেয়াদি কমিশনে কর্মরত। তাঁর দক্ষতা ও সাহসিকতা প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও, স্থায়ী কমিশনের আবেদন নাকচ হয়ে যায়। নিজের প্রতি হওয়া বৈষম্যের বিরুদ্ধে তিনি সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) শরণাপন্ন হন। তিনি জানান, গুরুত্বপূর্ণ ইন্টিগ্রেটেড এয়ার কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেমে মোতায়েন থাকার পরেও তাঁর প্রাপ্য সম্মান তাঁকে দেওয়া হয়নি।

বিচারপতি সূর্য কান্ত (Justice Surya Kant) ও বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংয়ের নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ এই মামলার শুনানিতে স্পষ্ট ভাষায় বলেন, সামরিক পেশায় অনিশ্চয়তা কোনও কর্মীর মনোবল ও দায়িত্ব পালনে বাধা হতে পারে। আদালতের (Supreme Court) ভাষায়, “স্বল্পমেয়াদি কমিশনের অধীনে থাকা আধিকারিকদের পেশাগত জীবনে স্থায়িত্বের অভাব মানসিকভাবে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে, যা সামগ্রিকভাবে সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ক্ষতিকর।”

বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়, নিকিতা পাণ্ডের (Nikita Pandey) আবেদন নিয়ে দ্বিতীয় দফার মূল্যায়ন প্রক্রিয়া এখনও চলছে। তবে আদালত স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে যেন চাকরি থেকে বরখাস্ত না করা হয়।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT

এই রায় শুধুমাত্র উইং কম্যান্ডার নিকিতার পক্ষে নয়, এটি এক বৃহত্তর বার্তা—সেনাবাহিনীর মতো প্রতিষ্ঠানেও লিঙ্গ-সমতা ও ন্যায়ের প্রশ্নে ছাড় দেওয়া হবে না। এটি সাহস, প্রজ্ঞা ও অধিকার রক্ষার লড়াইয়ের এক নিঃশব্দ প্রতিধ্বনি।