নিউজ পোল ব্যুরো: অনেকেই বুকে ব্যথা অনুভব করলেই ধরে নেন, এটা বুঝি গ্যাস বা অম্বলের সমস্যা। ফলে হার্টের সমস্যার আশঙ্কা অনেক সময় গুরুত্ব পায় না। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে ৪৫ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে যখন রজোনিবৃত্তির সময় ঘনিয়ে আসে, তখন শরীরের নানা পরিবর্তন ঘটে। এই সময়ের উপসর্গগুলিকে অনেকেই শুধুই হরমোনজনিত সমস্যা ভেবে অবহেলা করেন। অথচ চিকিৎসকদের মতে, বয়স ৩০ পেরোলেই মহিলাদের কয়েকটি স্বাস্থ্য পরীক্ষা, বিশেষ করে হৃদ্যন্ত্র সংক্রান্ত কিছু টেস্ট করিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। কারণ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হরমোনের ভারসাম্যে পরিবর্তন আসে এবং সেই সঙ্গে হৃদ্রোগের সম্ভাবনাও বাড়ে। যাঁদের ডায়াবেটিস, হাই প্রেশার, কোলেস্টেরলজনিত সমস্যা রয়েছে বা পরিবারের মধ্যে কারও হার্টের রোগের ইতিহাস আছে, তাঁদের আরও বেশি সতর্ক থাকা দরকার।
একটা ক্লান্তিকর দিন শেষে আপনি একা বাড়ি ফিরছেন। সময় রাত ৭:৪৫। শরীর অবসন্ন, মন বিষণ্ন। হঠাৎ করে বুকের মাঝখানে প্রবল চাপ অনুভব করলেন। সেই যন্ত্রণা ছড়িয়ে পড়ছে আপনার বাঁ হাতে ও চোয়ালে। আপনি বুঝে গেলেন, এটা সাধারণ ব্যথা নয় — সম্ভবত হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack)।
আরও পড়ুন: Cancer: সতর্কীকরণ মদের বোতলে
বিপদটা এখানেই। আপনি একা। আপনার আশেপাশে কেউ নেই। সবচেয়ে কাছের হাসপাতাল পাঁচ কিলোমিটার দূরে। আপনি জানেন, কয়েক মিনিটের মধ্যেই (Heart Attack) আপনি সংজ্ঞা হারাতে পারেন।এই সময় নিজেকে বাঁচানোর একটি সহজ কৌশল রয়েছে, যেটা হয়তো অনেকেই জানেন না। নাম — কফিং CPR (Cough CPR)।
যখন আপনি বুঝবেন আপনার হৃদস্পন্দন (Heartbeat) অনিয়মিত হয়ে যাচ্ছে, মাথা ঘুরছে, অথবা বুক ধড়ফড় করছে,
তখন নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন:
1. গভীরভাবে শ্বাস নিন।
2. শ্বাসের পর জোরে কাশি দিন, যেন বুকের গভীর থেকে কফ তোলার চেষ্টা করছেন।
3. প্রতি ২ সেকেন্ড পরপর এটা চালিয়ে যান — শ্বাস নিন, কাশি দিন।
4. এটি চালিয়ে যান যতক্ষণ না সাহায্য আসে বা আপনার হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক হয়।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
গভীর শ্বাস ফুসফুসে অক্সিজেন (Oxygen) পৌঁছে দেয়, আর জোরে কাশি হার্টকে সংকুচিত (Heart Attack) করে। এটি অস্থায়ীভাবে রক্তপ্রবাহ চালু রাখতে সাহায্য করে, যা আপনাকে অজ্ঞান হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে।