নিউজ পোল ব্যুরো:বিহার রাজনীতিতে চূড়ান্ত নাটকীয় মোড়। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের মাত্র কয়েক মাস আগে রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব এক চরম সিদ্ধান্তে তাঁর বড় ছেলে তেজপ্রতাপ যাদবকে (Lalu Prasad Yadav expels Tej Pratap) দল এবং পরিবার থেকে বরখাস্ত করেছেন। এই সিদ্ধান্ত শুধু রাজনৈতিক মহলে নয়, সামাজিক এবং পারিবারিক স্তরেও গভীর আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন:https://thenewspole.com/2025/05/25/bangladeshi-citizen-arrested-kalighat-illegal-immigration/
লালুপ্রসাদ যাদবের বক্তব্য অনুযায়ী, তেজপ্রতাপের দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং উচ্ছৃঙ্খল আচরণ দীর্ঘদিন ধরেই দলের শৃঙ্খলা ও ভাবমূর্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছিল। তিনি বলেন, “দলের বহু সদস্য তেজপ্রতাপের কার্যকলাপে দীর্ঘদিন ধরেই অসন্তুষ্ট। তাঁর কথা ও কাজের মধ্যে কোনো সামঞ্জস্য নেই। আমি বহুবার সতর্ক করেছি, কিন্তু পরিবর্তন আসেনি। তাই দল ও পরিবারের বৃহত্তর স্বার্থে এই কঠিন সিদ্ধান্ত।”
এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ছয় বছর তেজপ্রতাপ যাদবের কোনো রাজনৈতিক বা পারিবারিক ভূমিকা থাকবে না। এমনকি দলের কোনো কর্মসূচিতেও তিনি অংশ নিতে পারবেন না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি শুধুমাত্র এক পারিবারিক দ্বন্দ্ব নয়, বরং একটি দলের অভ্যন্তরীণ ভারসাম্য রক্ষার একটি কৌশলগত পদক্ষেপ।
তেজপ্রতাপ যাদব বরাবরই এক বিতর্কিত মুখ। তাঁর অদ্ভুত ফ্যাশন সেন্স, অসংলগ্ন ভাষণ, দলবিরোধী অবস্থান এবং ব্যক্তিগত জীবনের নানা বিতর্ক তাঁকে রাজনৈতিকভাবে অস্থির এক চরিত্রে পরিণত করেছে। আরজেডির তরফে বহুবার তাঁকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা হলেও, শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়। এর ফলে দলের অভ্যন্তরেও একটি অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছিল।
এই ঘটনার রাজনৈতিক প্রভাব ব্যাপক হতে পারে। একদিকে বিরোধীরা ইতিমধ্যেই এই ঘটনাকে ‘আরজেডির অভ্যন্তরীণ ভাঙন’ বলে প্রচার শুরু করেছে। অন্যদিকে, এই সিদ্ধান্ত আরজেডিকে একটি শৃঙ্খলাপরায়ণ ও দৃঢ় নেতৃত্বের বার্তা দিতে পারে জনসাধারণের কাছে। তবে প্রশ্ন উঠছে—এই সিদ্ধান্ত দলকে ঐক্যবদ্ধ করবে, না কি আরও বিভাজনের দিকে ঠেলে দেবে?
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচন আরজেডির জন্য এক কঠিন লড়াই। তেজস্বী যাদব তরুণ মুখ হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে চলেছেন, কিন্তু পারিবারিক এই দ্বন্দ্ব তাঁর রাজনৈতিক নেতৃত্বের উপর কতটা প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলবে। তবে একথা নিশ্চিত যে, লালুপ্রসাদের (Lalu Prasad Yadav expels Tej Pratap) এই পদক্ষেপ বিহারের রাজনীতিতে একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করল, যা আগামী কয়েক মাসের রাজনৈতিক হিসেবনিকেশকে প্রভাবিত করবেই।