নিউজ পোল ব্যুরো:শহরের বাতাস যখন আগুন ঝরাচ্ছে,তখন আপনার মন কি চাইছে এক শীতল স্পর্শ,এক শান্ত আশ্রয়?পরিচিত পাহাড়ি ভিড় এড়িয়ে যদি পেতে চান এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা,যেখানে শুধু প্রকৃতির সুর আর মেঘেদের আনাগোনা,তাহলে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে পশ্চিমবঙ্গের এক ‘লুকানো রত্ন’ – সিটং (Sitong)।দার্জিলিং জেলার এই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রামটি তার নির্ভেজাল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর অবিস্মরণীয় শান্ত পরিবেশের জন্য ইদানীং ভ্রমণপিপাসুদের নতুন ঠিকানা হয়ে উঠছে।
কমলালেবুর দেশ হিসেবে পরিচিত সিটং,এই মুহূর্তে কমলালেবুতে ভরা না থাকলেও এর সবুজে মোড়া পাহাড়,ধাপ চাষের জমি আর পাইন গাছের সারি আপনার মনকে ভরিয়ে দেবে।প্রায় ৪,০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই গ্রামটি যেন সবুজের এক নিশ্ছিদ্র চাদরে ঢাকা।যখন মেঘেদের দল আলতো পায়ে নেমে আসে উপত্যকায়,তখন সিটং যেন এক স্বপ্নপুরী হয়ে ওঠে।এখানে পাবেন সত্যিকারের শান্তি,যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্কের ঝুট-ঝামেলাও আপনার প্রকৃতির সাথে মিশে যাওয়ার পথে বাধা হবে না।
সিটং (Sitong) মূলত তার স্নিগ্ধ প্রকৃতির জন্যই পরিচিত।এখানে খুব বেশি ‘দেখার জায়গা’ খুঁজতে যাবেন না,বরং প্রতিটি মুহূর্তকে উপভোগ করতে শিখুন।পাহাড়ি পথে হেঁটে চলুন, স্থানীয় লেপচা জনগোষ্ঠীর সরল জীবনযাপন দেখুন।যদি আকাশ পরিষ্কার থাকে,সিটং থেকে কিছুটা উপরে আহলদাড়া ভিউপয়েন্ট থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার এক দুর্দান্ত প্যানোরামিক ভিউ আপনাকে মুগ্ধ করবে।আর যদি আপনি পাখি ভালোবাসেন,অসংখ্য পাহাড়ি পাখির কিচিরমিচির শুনতে শুনতে এখানকার সময় কেটে যাবে।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত মঙ্গপুও খুব কাছেই।
নিউ জলপাইগুড়ি (NJP) স্টেশন বা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে গাড়ি ভাড়া করে সরাসরি সিটং পৌঁছানো যায়,সময় লাগে প্রায় আড়াই ঘণ্টা।এখানে থাকার জন্য বেশ কিছু আরামদায়ক হোমস্টে রয়েছে,যেখানে স্থানীয়দের আন্তরিক আতিথেয়তা আপনাকে মুগ্ধ করবে।বেশিরভাগ হোমস্টে থেকেই কাঞ্চনজঙ্ঘার দারুণ ভিউ পাওয়া যায়।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
শহরের কোলাহল আর গরম থেকে মুক্তি পেতে যদি ভিন্ন কিছু চান,তাহলে সিটং (Sitong) হতে পারে আপনার আগামী গন্তব্য।প্রকৃতির এই কোলে সপ্তাহান্তে কাটিয়ে আসুন,মন ও শরীর দুই-ই সতেজ হবে।