নিউজ পোল ব্যুরো: বঙ্গোপসাগরের (Weather)উপর তৈরি হওয়া একটি সম্ভাব্য নিম্নচাপ ঘিরে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্যের আবহাওয়া। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, এই নিম্নচাপের ফলে আগামী কয়েক দিন ধরে রাজ্যের (Weather)বিভিন্ন প্রান্তে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে থাকবে বজ্রবিদ্যুৎ ও ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া। ২৪ মে থেকেই বৃষ্টির এই ধারা শুরু হয়ে চলবে ২৯ মে পর্যন্ত। ২৭ মে নাগাদ বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম-মধ্য ও উত্তর সংলগ্ন এলাকায় একটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে, যা ধীরে ধীরে ঘনীভূত হয়ে আরও শক্তিশালী হলে বৃষ্টির প্রকোপও বাড়বে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, ২৮ মে থেকে এই নিম্নচাপ ভারী বৃষ্টির রূপ নিতে পারে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়।দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে শুরু হতে পারে ভারী বৃষ্টি। পরদিন, অর্থাৎ ২৯ মে, এই বৃষ্টি ছড়িয়ে পড়বে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে। পরের দিন ৩০ মে বৃষ্টির ভার পড়বে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, হুগলি ও দুই বর্ধমানের উপরে। বাকি জেলাগুলিতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝোড়ো হাওয়ায় ভিজতে পারে শহর (City)ও মফস্বল। বৃষ্টির সম্ভাবনার জেরে আবহাওয়া দফতর সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছে। এই সময় খোলা জায়গায় না যাওয়া, জল জমতে পারে এমন এলাকায় আগাম ব্যবস্থা নেওয়া এবং ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে ক্ষতি এড়াতে বাড়ির বাইরের হালকা জিনিসপত্র শক্তভাবে বেঁধে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের কৃষিজীবী মানুষজনকেও বিশেষ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে এই কয়েকদিন।
২৪ মে কেরলে বর্ষার আগমন হয়েছে, যা গত ১৬ বছরের মধ্যে সবচেয়ে তাড়াতাড়ি ঘটনা। সাধারণত এই সময় বর্ষা ঢোকে না। কেরলে আগাম বর্ষা প্রবেশের ফলে আশা করা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গেও এবার বর্ষা তাড়াতাড়ি ঢুকতে পারে। যদিও আবহাওয়াবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, কেবল কেরলে বর্ষা ঢোকাই যথেষ্ট নয়, বরং বর্ষা প্রবেশের জন্য দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর শক্তি এবং অন্য কিছু আবহাওয়ার উপাদান দরকার, যা এখনো পুরোপুরি তৈরি হয়নি। সাধারণত কলকাতায় (Kolkata)বর্ষা প্রবেশ করে ১১ জুন নাগাদ, তবে এ বছর তা কিছুটা এগিয়ে আসতে পারে বলেই ধারণা। সবমিলিয়ে, মে মাসের শেষ সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বৃষ্টির দাপট দেখা দিতে পারে বলেই পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া (wheather) দফতর।