Amar Boss: মুক্তি পাওয়ার আগে থেকেই সাফল্যের শিখরে “আমার বস’

পেজ 3 বিনোদন

নিউজ পোল ব্যুরো: ইতিমধ্যেই দর্শক ভিড় করেছে প্রেক্ষাগৃহে উইন্ডোজ প্রযোজনা (windos production) সংস্থার নতুন ছবি ‘আমার বস’ (Amar Boss) দেখতে। গরমের ছুটি পড়ার আগেই দর্শককে উপহার দিলেন একটি ভিন্ন স্বাদের ছবি। শিবপ্রসাদ (Shiboprasad) ছবির বিষয়ে জানান সময়ের থেকে এগিয়ে গল্প বলেছেন পরিচালক। বরাবরই শিবপ্রসাদ-নন্দিতা একটু অন্য স্বাদের ছবি উপহার দিয়ে আসছেন। দর্শকদের দাবি, “এই ছবি সমস্ত ভাষায় তৈরি করে ছড়িয়ে দেওয়া উচিত”। ১২ বছর পরে এটাই দেশের ভবিষ্যৎ।


‘আমার বস’ (Amar Boss) ছবি মুক্তি নিয়ে শিবপ্রসাদ জানান “যখন ছবি মুক্তি পায় তখন গরমের ছুটি পড়েনি। তার উপরে কঠিন সময়। একটু ভয়ে ছিলাম। ধীরে ধীরে দেখলাম, দর্শক নিচ্ছে ছবিটা। দেখছে ‘আমার বস’ (Amar Boss)।” টলিউড থেকে বলিউড যেকোনো ছবি মুক্তি পাবার পরেই সমালোচনা থাকে চরম সীমায়। শিবপ্রসাদ-নন্দিতার নতুন ছবি নিয়েও সমালোচনা ছিল তুঙ্গে। শিবপ্রসাদ জানান চিত্রনাট্যের ত্রুটি থেকে শুরু করে , ছবির সংলাপের ধার, এবং অভিনেতাদের পর্দায় উপস্থিতি নিয়েও নানা মুনির নানা মত। সমস্ত সমালোচনার পরেও দর্শকদের জন্য নন্দিতা রায়-শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের গরমের ছুটির উপহার ‘আমার বস’ (Amar Boss)-এর ধার কি একটুও কমেছে? ছবিমুক্তির দুসপ্তাহ পরে হল মালিক ও পরিবেশকদের দাবি ২ লক্ষেরও বেশি দর্শক ছবিটি দেখেছেন। তবে এটা ছিল দক্ষিণ কলকাতার গল্প তার সাথে কি উত্তর কলকাতার প্রেক্ষাগৃহের (cinemahall) গল্পটাও একই রকম? “অনেকটাই মেলে”, বলেছেন উওর কলকাতার প্রেক্ষাগৃহের কর্ণধাররা। তাদের কথায়, “প্রথম সপ্তাহ একটু নরম ছিল। কারণ, ‘অপারেশন সিঁদুর’(operation sindoor)। দুই দেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতি। সপ্তাহ ঘুরতেই কাজের দিনেও ছিল দর্শকদের উপচে পড়ার ভিড়। হলে ৯০ শতাংশ আসন ভরে গিয়েছে। তবে বিশ্রাম নেই নন্দিতা-শিবপ্রসাদের হলে হলে পৌঁছে যাচ্ছেন শুনে নিচ্ছেন দর্শকদের মতামত।

আরও পড়ুন:Corona: আবার কি তবে ফিরতে চলেছে করোনা মহামারির তাণ্ডব! বাংলাতেও আক্রান্ত ২

“নন্দিতা-শিবপ্রসাদের ছবির আলাদা দর্শক আছেন। তারা ওদের ছবি দেখতে ভীষণই ভালবাসেন। ওদের প্রযোজনা সংস্থার কোনও ছবি মুক্তি পেলেই হল ভরিয়ে দেখতে আসেন সেইসব দর্শকরা। এ বারেও এটার অন্যথা হয়নি। এমন দর্শকও দেখা গেছে যারা একবার ছবিটি দেখার পরেও বাড়ির লোকেদের সঙ্গে করে নিয়ে দেখতে আসছেন! ‘আমার বস’(Amar Boss) নিয়ে এমন টানটান উত্তেজনার কারণ হলো দীর্ঘ ১৪ বছর পরে বাংলা ছবিতে ফের পা রাখলেন রাখি গুলজার (rakhi gulzar)। সময়ের থেকে বেশ খানিকটা এগিয়ে থাকা ছবিটির মূল বিষয়। আরো একটি বিশেষ কারণ শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়-শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের টাটকা জুটি। দেখানো হয়েছে আইটি অফিসে মা-বাবাদের দেখভালের জন্য বিশেষ বিভাগ চালু। আর এই সমস্ত কারণেই ‘আমার বস’ (Amar Boss) প্রথম দিন থেকেই হাত খুলে খেলছে।

শিবপ্রসাদ বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। তাঁর মতে, “বিষয়টি এতটাও সহজ ছিল না। যখন মুক্তি পায় তখন গরমের ছুটি পড়েনি। তার উপরে কঠিন সময়। একটু ভয়েই ছিলাম। ধীরে ধীরে দেখলাম, দর্শক নিচ্ছে ছবিটা। দেখছে ‘আমার বস’। নন হলিডে রিলিজেও যখন দর্শক ভিড় করেন সেটাই আমাদের কাছে বড় প্রাপ্তি, টলিউডের ক্ষেত্রেও।” শিবপ্রসাদ-নন্দিতা আরো জানান “একুশ শতকে এসেও আজও কেউ ভাবতে পারেন না, অফিসে মা-বাবাদের দেখভালের বন্দোবস্ত থাকবে” পরিচালক বলেন কমবেশি তাদের অনেক ছবিই অজানা বাস্তব তুলে ধরেছে দর্শকদের সামনে । পরিচালক ‘কণ্ঠ’ ছবিরও উল্লেখ করেছেন। যেখানে ‘ল্যারিংজেকটমি ক্লাব’-এর কথা বলা হয়েছে। তিনি বলেছেন “সেই ক্লাব এ দেশে এখনও তৈরি না হলেও বিদেশে হয়েছে।”

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT