নিউজ পোল ব্যুরো: আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) মোদীকে (Narendra Modi) সাক্ষী রেখে ২৬-র নির্বাচনের সুর বাঁধলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) মাটিতে আজ বাংলার ভবিষ্যতের জন্য এক নতুন পথরেখা তৈরি হল। এই মঞ্চ থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) স্পষ্ট বার্তা দিলেন, সময় এসেছে পরিবর্তনের। বাংলার মানুষ আর চায় না দুঃশাসন, স্বজনপোষণ আর তোষণের রাজনীতি। আগামী বিধানসভা নির্বাচন শুধু রাজনৈতিক পালাবদলের সুযোগ নয়, এটি এক ঐতিহাসিক দায়িত্ব। বাংলাকে বাঁচানোর দায়।
জনসভায় শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আজকের সংকল্প হোক, বাংলাকে মুক্ত করব দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল (TMC) সরকারের কবল থেকে। বাংলার জন্য, দেশের জন্য দরকার এক সুশাসনের সরকার, দরকার নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) নেতৃত্বে একটি দৃঢ় ও উন্নয়নমুখী বিজেপি (BJP) সরকার।”
তিনি আরও বলেন, “যে সরকার ধর্মের ভিত্তিতে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ, যারা প্রশাসনকে পারিবারিক সম্পত্তির মতো ব্যবহার করে, তাদের সময় শেষ। পহেলগাঁওয়ে বাংলার তিন সাহসী সন্তানকে ধর্মের পরিচয়ে খুন করা হয়েছিল। কেন্দ্র সরকার শুধু নীরব দর্শক হয়নি— মোদীজির নেতৃত্বে সেই হত্যার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হয়েছে।”
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
এই সভা শুধু একটি জনসমাগম নয়, এটি এক গণদাবির প্রতিফলন। বাংলার মানুষ আজ বিকল্প খুঁজছে। আর সেই বিকল্প হল এক উন্নয়ননির্ভর, নিরাপদ এবং আত্মমর্যাদায় উদ্ভাসিত বাংলা। এখন লক্ষ্য একটাই, “পরিবর্তন আবার, বাংলার উন্নয়নের সরকার।
“উত্তরবঙ্গ আজও আমাদের গর্ব প্রকৃতির দান, নদীর কলরব, চা-বাগানের ঘামে গড়া সভ্যতা। কিন্তু গত ১৪ বছরে এই অঞ্চল কী পেয়েছে? পেয়েছে অবহেলা, শোষণ, আর একের পর এক প্রতারণা। শুভেন্দু অধিকারীর দৃঢ় বার্তা, এই অবিচারের শেষ হওয়া উচিত এখনই।
তিনি বলেন, ‘যে সরকার হিন্দুদের অধিকার ভুলে তোষণের রাজনীতিকে আশ্রয় করে, যাঁরা প্রকৃতি ধ্বংস করে বালি ও বন পাচার চালিয়ে যায়, তাঁদের আর বাংলার দরকার নেই। তৃণমূল সরকার উত্তরবঙ্গের প্রাণশক্তিকে নিঃশেষ করে দিয়েছে। এমনকি চা-বাগানের শ্রমিকরা পেটের টানে আজ বাংলার মাটি ছেড়ে কেরলে পাড়ি দিচ্ছেন।’
শুভেন্দু আরও উল্লেখ করেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় BSF-কে জমি দিতে নারাজ, অথচ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জন্য খুলে রেখেছেন বাংলার দরজা। রোহিঙ্গাদের নিয়ে তিনি যেন এক ভিন্ন “ভাইপোর বাংলায়” আত্মীয়তার রাজনীতি করছেন।’
এই অবস্থায় তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন‘এখনই সময়, এই বিশ্বাসঘাতকতা শেষ করার। মোদীর নেতৃত্বেই গড়ে উঠুক এক নতুন বাংলা। এই বিশাল জনসমুদ্র প্রমাণ করছে, বাংলার মন স্থির, বাংলার পথ মোদীর দিকে। পহেলগাঁওয়ে যারা শহিদ হয়েছিলেন, তাদের জন্য জবাবদিহি করেছে একমাত্র মোদীজির সরকার।’