নিউজ পোল ব্যুরো: সাধারণ মানুষের সুবিধায় জলপরিবহণকে আরো সুন্দরভাবে সাজতে একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার । এবং নামানো হচ্ছে ১৩টি পরিবেশবান্ধব অত্যাধুনিক জলযান (E-vessels)। এদিন একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় জলযান তৈরির কাজ শুরু উপলক্ষে গার্ডেনরিচে (Garden reach)। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী (Snehasis Chakraborty), রাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল (Dilip Mondal), গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর কমোডর পিআর হরি (PR hari), ডাবলুবিটিসি-র এমডি শিরাজ ধানেশ্বর (Shiraj Dhaneswar) সহ আরো অনেক শিপ বিল্ডার্সের কর্তারা।পরিবহণ দপ্তরের সঙ্গে ১৩টি হাইব্রিড ফেরি (E-vessels) ডিজাইন ও নির্মাণের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স। বহণ দপ্তরের তরফে এই ই-ভেসেলগুলো (E-vessels) নামানো হবে। রাজ্যের খরচ হবে ২৪০ কোটি টাকা। পরিবহণ দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, সাতটি ভেসেল থাকছে যেগুলোয় ১০০ জন যাত্রী চড়তে পারবেন। আর ৬টি দ্বিতল ভেসেল বানানো হবে, যেগুলোতে ২০০ জন যাত্রীধারণ ক্ষমতা থাকবে।
গতবছর যেই হাইব্রিড ফেরি (E-vessels) ডিজাইন ও নির্মাণের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স (Garden reach ship builders) সেই কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হল। এই নৌযানগুলির কাঠামো হবে ক্যাটামেরন ধাঁচের এবং নির্মাণে ব্যবহৃত হবে অ্যালুমিনিয়াম ও ফাইবার রিইনফোর্সড পলিমার। এই হাইব্রিড ফেরিগুলি ব্যাটারি ও ডিজেল উভয়ের দ্বারা চলবে। ফলে অপারেটররা প্রয়োজনে দু’টি মোডের মধ্যে বদল ঘটাতে পারবেন, যা নিরাপত্তা বৃদ্ধি করবে। এর আগে গার্ডেনরিচ বৈদ্যুতিক জলযান ‘ঢেউ’ তৈরি করেছিল। যেটি এখন বর্তমানে কলকাতা থেকে বেলুড় মঠ পর্যন্ত চলাচল করছে। দোতলা নৌযানগুলির দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ৩০ মিটার এবং প্রস্থ ৮-১০ মিটার হবে। এই ৬টি ফেরির আনুমানিক নির্মাণের জন্য ব্যয় হবে ১২৬ কোটি টাকা। বাকি ৭টি ফেরিতে থাকবে একটি করে ডেক এবং প্রতিটির যাত্রী ধারণক্ষমতা হবে ১০০ জন।
চুক্তি অনুযায়ী, এই হাইব্রিড ফেরিগুলি (E-vessels) ত্রিবেণী থেকে ডায়মন্ডহারবারের মধ্যেই বিভিন্ন রুটে যাত্রী পরিবহণ করবে। এবং পরিবহণমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘১৩টি হাইব্রিড ফেরি তৈরি করতে গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্সকে বরাত দেওয়া হয়েছে। আশা করছি দেশের অন্যান্য রাজ্যও বাংলার এই পরিবেশবান্ধব উদ্যোগকে অনুসরণ করবে।’’ সংস্থার চেয়ারম্যান পি আর হরি শিপইয়ার্ডের সাম্প্রতিক সাফল্য এবং বৃহত্তর জাহাজ নির্মাণে সবুজ প্রযুক্তিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আমরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিবেশবান্ধব উদ্যোগে নেতৃত্ব দিতে পেরে গর্বিত এবং আমি আত্মবিশ্বাসী যে, আমরা উচ্চমানের জাহাজ নির্মাণের মাধ্যমে সামুদ্রিক খাতে কার্বন নিঃসরণ হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারব।”
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
