নিউজ পোল ব্যুরো: ভারতের আকাশসীমা রক্ষার দায়িত্বে থাকা শক্তিশালী বাহিনী, ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Airforce)। আর সেই বাহিনীরই প্রধান, এয়ার চিফ মার্শাল (IAF Chief) অমরপ্রীত সিং (Amar Preet Singh) এবার সরাসরি প্রশ্ন তুললেন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহ ব্যবস্থার জটিলতা নিয়ে। সরকারি প্রতিরক্ষা উৎপাদন সংস্থাগুলির উদ্দেশ্যে তিনি (IAF Chief) ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, “আপনারা এমন প্রতিশ্রুতি দেন কেন, যা আপনারা জানেনই যে পূরণ করা সম্ভব নয়?”
আরও পড়ুন: Salman Khurshid: ৩৭০ ধারা বাতিলের প্রশংসায় সলমন খুরশিদ, কংগ্রেসের অন্দরেই বাড়ছে অস্বস্তি
দিল্লিতে এক প্রতিরক্ষা সম্মেলনে দাঁড়িয়ে বায়ুসেনা প্রধান (IAF Chief) আরও বলেন, “প্রায় প্রতিটি প্রকল্পই নির্ধারিত সময়ের বাইরে গিয়েছে। এমন প্রকল্প খুঁজে পাওয়া যাবে না, যা নির্ধারিত সময়মতো শেষ হয়েছে। এটা শুধু পরিকল্পনার ত্রুটি নয়, এটা ভবিষ্যতের প্রস্তুতিকেও প্রশ্নের মুখে ফেলে।”
বিশেষ করে তেজস এমকে-১এ (Tejas MK1A) যুদ্ধবিমান নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ২০২১ সালে হ্যাল-এর সঙ্গে ৮৩টি বিমানের জন্য ৪৮ হাজার কোটি টাকার চুক্তি হলেও এখনও সরবরাহ শুরু হয়নি। ২০২৪ সালের মার্চে প্রথম ব্যাচ আসার কথা থাকলেও, তা হয়নি। যুদ্ধের প্রস্তুতির এই ঘাটতি জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে এক অস্বস্তিকর বাস্তব তুলে ধরছে।
প্রসঙ্গত, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর (Operation Sindoor) সফলতার কৃতিত্ব নিয়ে মোদী (Narendra Modi) সরকার দেশজুড়ে প্রচারে ব্যস্ত। কিন্তু বাস্তবে যখন যুদ্ধের প্রয়োজনীয় অস্ত্র ও প্রযুক্তির ঘাটতি রয়ে যায়, তখন সেই বাহিনীরই প্রধানের মুখে এমন মন্তব্য সরকারকে সরাসরি প্রশ্নের মুখে ফেলে।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
এয়ার চিফ মার্শাল বলেন, “শুধু দেশীয় উৎপাদন নয়, আমাদের নিজস্বভাবে যুদ্ধাস্ত্র ডিজাইন করাও প্রয়োজন। শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষাই ভবিষ্যতের চাবিকাঠি।”
