নিউজ পোল ব্যুরো:বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’-এর অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে দায়ের হওয়ায় দেশজুড়ে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের তীব্র চাপের মুখে পদত্যাগ করার পর তিনি প্রতিবেশী দেশ ভারতেই অবস্থান করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, হত্যা ও নির্যাতনের মতো গুরুতর অভিযোগ। বলা হচ্ছে, সরকারবিরোধী শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমন করতে শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina crimes against humanity) সরাসরি নিরাপত্তা বাহিনীকে হত্যাকাণ্ড চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন:https://thenewspole.com/2025/06/01/jobless-teachers-kalighat-protest-mamata-meet-denied/
এই মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন সহ-অভিযুক্ত। তদন্ত সংস্থা গত ১২ মে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেয় ট্রাইবুনালে, যেখানে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সরাসরি হত্যার নির্দেশ প্রদান, নির্বিচারে গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং রাষ্ট্রীয় দমননীতির সুনির্দিষ্ট বিবরণ তুলে ধরা হয়। এই প্রতিবেদনকে ভিত্তি করেই ২৫ মে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়।
ট্রাইবুনালের বিচারক মোহাম্মদ গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বে রবিবার থেকে এই ঐতিহাসিক বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, যা আদালতের বিচারকক্ষ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে—যা বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। শুনানির প্রথম দিনেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে এবং আগামী ১৬ জুন তিন অভিযুক্তকে আদালতে সরাসরি হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই নির্দেশ ভবিষ্যতে শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় আনতে বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
এদিকে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina crimes against humanity) বিরুদ্ধে ক্ষোভ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও নাগরিক সংগঠন তাঁর দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার পাশাপাশি ফাঁসির দাবি জানাচ্ছে। বর্তমান ইউনূস সরকার তাঁকে দেশে ফিরিয়ে এনে মৃত্যুদণ্ড চাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জল্পনা চলছে। অনেকে বলছেন, এ বিচার প্রক্রিয়াই প্রমাণ করবে, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে থেকেও কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এই মামলা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক গভীর মোড় এনে দিয়েছে এবং গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের প্রশ্নে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।