নিউজ পোল ব্যুরো: সোমবার এক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী থাকল ছত্তিশগড়ের (Chattisgarh) সুকমা (Sukma) জেলা। দীর্ঘদিনের সংঘর্ষ ও রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের পর অবশেষে অস্ত্র ফেলে মূল স্রোতে ফেরার পথ বেছে নিলেন ১৬ জন কুখ্যাত মাওবাদী (Maoist) নেতা। এদের মধ্যে ৬ জনের মাথার দাম ছিল ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ প্রচেষ্টার জোরে এই আত্মসমর্পণকে লাল সন্ত্রাস দমনে বড়সড় সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Samik Bhattacharya: লন্ডন থেকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিলেন শমীক ভট্টাচার্য
আত্মসমর্পণকারীদের তালিকায় রয়েছেন এক মহিলা-সহ বহু ভয়ংকর মাও নেতা, যারা একসময় বহু নৃশংস হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পুলিশের দাবি, এদের মধ্যে দোদি সুক্কি ওরফে রিতা (৩৬) এবং রাহুল পুনেম (১৮)-এর মাথার দাম ছিল ৮ লক্ষ টাকা করে। লেকাম লাখমা (Lekam Lakhma) নামে আরেক নেতার মাথার দাম ছিল ৩ লক্ষ। আরও তিনজন নেতার মাথার দাম নির্ধারিত ছিল ২ লক্ষ করে। সব মিলিয়ে, ১৬ জনের বিরুদ্ধে ঘোষিত পুরস্কারের অঙ্ক দাঁড়ায় প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা।
আত্মসমর্পণকারীরা জানান, মাও আদর্শের ‘অমানবিকতা’ ও ‘সহিংসতা’তে তারা ক্লান্ত ও হতাশ। তাই শান্তির পথে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ছত্তিশগড় (Chattisgarh) সরকার নতুন করে সংশোধিত ‘নকশাল আত্মসমর্পণ ও পুনর্বাসন নীতি ২০২৫’ অনুসারে তাঁদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা, চাকরি, আইনগত সুরক্ষা ও সন্তানদের শিক্ষার সুযোগ দিচ্ছে।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, যারা লাইট মেশিনগান বা উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করছেন, তাদের জন্য নির্ধারিত রয়েছে ৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার। আর কোনও মাও ইউনিটের যদি ৮০ শতাংশ সদস্য একসঙ্গে আত্মসমর্পণ করেন, তবে পুরস্কারের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) ২০২৬-এর মার্চের মধ্যে ‘মাওবাদমুক্ত ভারত’-এর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। সেই লক্ষ্যে ছত্তিশগড় (Chattisgarh), ঝাড়খণ্ড ও তেলেঙ্গানায় চলছে ঐতিহাসিক অভিযান। ইতিমধ্যেই কারেগুট্টা পাহাড়ি অঞ্চলে ৩১ জনেরও বেশি মাওবাদী খতম হয়েছে। নামানো হয়েছে প্রায় ২০ হাজার যৌথ বাহিনী, যাদের লক্ষ্য, সহিংসতার এই শেষ চিহ্নটুকুকেও মুছে ফেলা।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT