নিউজ পোল ব্যুরোঃ অপারেশন সিঁদুরের পর থেকেই দেশের একাধিক জায়গা থেকে গ্রেফতার হচ্ছে পাকিস্তানি চর। ভারতে থেকেও ভারতবিরোধী কাজের অভিযোগ উঠেছে। দিল্লি, হরিয়ানা, পাঞ্জাব সহ একাধিক জায়গায় মিলেছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ISI-এর হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগ। দেশে লুকিয়ে থাকা দেশদ্রোহীদের খোঁজে অভিযান রয়েছে অব্যহত। তাতেই মিলেছে সাফল্য। পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এবার খোদ রাজ্য সরকারের কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে রাজস্থানের জয়সলমীরের কর্মসংস্থান অফিসের একজন সহকারী প্রশাসনিক কর্তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ অভিযুক্ত সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের আইএসআই (ISI) এজেন্টদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেশের কৌশলগত তথ্য সংগ্রহ এবং সেগুলি শেয়ার করার অভিযোগ এনেছে। রাজস্থান পুলিশের আইজি (সিআইডি সুরক্ষা) বিষ্ণু কান্ত গুপ্তা নিশ্চিত করেছেন যে অভিযুক্ত দীর্ঘদিন ধরে নজরদারির আওতায় ছিলেন। বিষ্ণু কান্ত গুপ্তা বলেছেন, শাকুর খানের কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে সন্দেহজনক ছিল। এই কারণে, নিরাপত্তা সংস্থাগুলি তাকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছিল। আইজির কথায়, “নজরদারি চালানোর সময়ে জানা গিয়েছে, শাকুর খান পাকিস্তান দূতাবাসে কর্মরত কিছু ব্যক্তির সঙ্গে বিশেষ করে আহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশ এবং সোহেল কামারের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রেখেছিলেন। জয়পুরের কেন্দ্রীয় জিজ্ঞাসাবাদ কেন্দ্রে জিজ্ঞাসাবাদের সময়, খান স্বীকার করেছেন যে তিনি বেশ কয়েকবার পাকিস্তান ভ্রমণ করেছিলেন, দানিশের সহায়তায় ভিসা পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুনঃ Military Training : প্রথম শ্রেণি থেকেই রাজ্যের স্কুলগুলিতে দেওয়া হবে সেনা প্রশিক্ষণ
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা ভালো ভারত সরকার ইতিমধ্যেই দানিশকে ‘অবাঞ্ছিত ব্যক্তি’ হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং পাকিস্তানে ফেরত পাঠিয়েছে। দানিশের বিরুদ্ধে ভারতে থাকা পাক হাইকমিশনে থেকে ভারতের তথ্য পাচারের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি পাকিস্তানের হয়ে কাজ করা হরিয়ানার ভ্লগার জ্যোতি মালোহত্রার সঙ্গেও দানিশের যোগের প্রমাণ মিলেছে। পুলিশ আরও জানাতে পেরেছে রাজস্থানের অই সরকারি কর্মী পাকিস্তান থেকে ভারতে ফিরে আসার পর সেনার একাধিক তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে পাকিস্তানি আইএসআই (ISI) হ্যান্ডলারদের কাছে পাঠিয়েছিলেন।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
