নিউজ পোল ব্যুরো: ইন্টারনেট সমস্যাই নয় শুধুমাত্র, পাকিস্তানের (Pakistan) কাপুরুষোচিত আক্রমণে পরিণতি ‘অপারেশন সিন্দুর’ (Operation Sindoor), সম্প্রতি তার জন্যই পরীক্ষার কেন্দ্র পর্যন্ত পরিবর্তন করা হয়, প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাব এবং শীতকালে কাশ্মীরের (Kashmir) তুষারাবৃত রাস্তাঘাট জয়েন্ট এন্ট্রান্স (JEE) প্রস্তুতির উপর প্রভাব ফেলে। সেই খবরই জানা যাচ্ছে তিন তরুণী কাশ্মীরি মেয়ে জেনেস (Jenes), মালিহা (Mliha)এবং সাদাফ (Sadaf) এর কাছে। জয়েন্ট এন্ট্রান্স অ্যাডভান্সড ২০২৫ এর জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছে তারা এবং আইআইটিতে (IIT) পড়ার তাদের স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার (JEE) প্রস্তুতি সহজ ছিল না। পরীক্ষার কয়েকদিন আগে, সন্ত্রাসী হামলা এবং ভারতের পরবর্তী ‘অপারেশন সিন্দুরের’ কারণে তাদের প্রস্তুতি প্রায় ব্যাহত হয় বললেই চলে। তাছাড়া, তাদের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার কেন্দ্র যা মূলত শ্রীনগরে (Srinagar) পরেছিল পরীক্ষার কয়েকদিন আগেই সেই জায়গা স্থানান্তরিত করা হয়েছিল, যা তাদের এবং তাদের বাবা মাকে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন করে তুলেছিল।
আরও পড়ুন: Housefull 5: “হাউসফুল ৫”-এ ‘ফুল হাউস’! ৩ দিনেই ১০০ কোটি বক্স অফিসে ছক্কা হাঁকালেন অক্ষয়
কাশ্মীরের ‘ভাতের বাটি’ নামেও পরিচিত পুলওয়ামার (Pulwama) বাসিন্দা একজন ছাত্রী জেনেস তার বাবা, যিনি পেশায় একজন সাংবাদিক (Reporter) এবং তার মা, একজন গৃহিণী। কাশ্মীরে থেকে আইআইটির আকাশের লক্ষ্যে সেই ছাত্রীরা তাদের মধ্যে একজন জেনেস (Jenes) তার স্বপ্ন নিয়ে বললো “স্কুলে থাকাকালীন আমি জয়েন্ট এন্ট্রান্স সম্পর্কে জানতাম না। তবে, সীমিত মানের কোচিং সেন্টারের কারণে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে জয়েন্ট এন্ট্রান্স (JEE) বেছে নেওয়া অস্বাভাবিক। দ্বাদশ শ্রেণীতে থাকাকালীন আমি পরীক্ষার বিষয়ে জানতে পারি এবং এর জন্য প্রস্তুতি নিতে চাই। ইন্টারনেট বন্ধ না থাকলে আমি গুগলে (google) জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার প্যাটার্ন ইত্যাদি সম্পর্কে অনুসন্ধান করতাম । এমনকি আমার স্কুলের শিক্ষকরাও ইঞ্জিনিয়ারিং (Engineering) প্রবেশিকা পরীক্ষা সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানতেন না,” জেনেস দ্বিতীয়বার জয়েন্ট এন্ট্রান্স পাস করেছিলেন এইবার।
জেইই মেইন থেকে এডভান্সের দিকে যাত্রা তার আইআইটি স্বপ্ন পূরণের জন্য, তিন ছাত্রী ‘রাইস’ (Rise) ভর্তি হয়। খড়্গপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে ভর্তি হতে ইচ্ছুক মেয়েটি আরও জানিয়েছে “প্রথমত, বিভিন্ন ধারণাগত ফাঁকফোকর ছিল। দশম এবং একাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞানে আমার ভিত্তি শক্ত ছিল না। পরীক্ষায় সব বিষয়ই পরস্পর সম্পর্কিত। প্রথম প্রচেষ্টায় ভালো নম্বর না পাওয়ায় আমি একটা বিপাকে পড়েছিলাম। এটা আমার জন্য নতুন ছিল, কিন্তু কোচিংয়ের সাহায্যে আমি ভালো ফলাফল করতে পেরেছি,”। ইন্টারনেট বন্ধের কারণেই ফ্রমফিলাপেও সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল কাশ্মীরের ছাত্র ছাত্রীরা এবং ব্যাঘাত ঘটেছিলো তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতেও।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
পাকিস্তানের আক্রমণের কারণে যে সাইরেন বাজছিল এবং ব্ল্যাকআউট হচ্ছিল তাতে তাদের পড়াশুনা করতে এবং মনোযোগ দিতে সমস্যা হচ্ছিলো। ‘অপারেশন সিঁদুর’ এর ফলে সীমান্ত সমস্যার কারণে, তার পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তনে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছিল পরীক্ষা হবার কথা ছিল শ্রীনগর, এবং তারপর সেটা জম্মুতে পরিবর্তন করা হয়েছিল। জেনেস একটি বিমান বেছে নিয়ে জম্মুতে পৌঁছেছিল। শ্রীনগর-জম্মু হাইওয়েতে আবহাওয়া ভালো না থাকায় তাদের বেশ অসুবিধায় পড়তে হয়েছিল এবং তাদের বিমানটিও বিলম্বিত হয়েছিল। তারা জানান যে পরীক্ষার আগের মুহূর্তে এইরূপ জায়গা পরিবর্তনের জন্য তাদেরকে মুখোমুখি হতে হয়েছিল কঠিন পরিস্থিতির। জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ছাত্রীরা আরও দাবি করেন যে যদি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তন না করা হত, তাহলে তিনি আরও ভালো ফলাফল করতে পারতেন। জেনেস নামের ছাত্রী আরও বলেন প্রচেষ্টায় ভালো নম্বর না পাওয়ায় আমি একটা বিপাকে পড়েছিলাম। এটা আমার জন্য নতুন ছিল, কিন্তু কোচিংয়ের সাহায্যে আমি ভালো ফলাফল করতে পেরেছি”।