নিউজ পোল ব্যুরো: কেরল উপকূলে (Kerala Coast) সিঙ্গাপুরের পণ্যবাহী জাহাজে ঘটলো ‘রহস্য়ময়’ বিস্ফোরণ, জাহাজটি গত ৭ই জুন শ্রীলঙ্কার (Srilanka) কলম্বো থেকে মুম্বইয়ের (Mumbai) উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল। খবর পেয়েই উদ্ধারের জন্য ছুটে যায় ভারতীয় রণতরী আইএনএস সুরাত (INS Surat)। উদ্ধারকাজে পাঠানো হয় একাধিক যুদ্ধবিমানও। কী থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটল তা নিয়ে ঘনাচ্ছে রহস্য়। তবে আপাতত চলছে পুরো জাহাজে আগুন নেভানোর কাজ।
সূত্রের খবরে জানা যাচ্ছে, আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ মুম্বাইয়ের মারিটাইম অপারেশনস সেন্টারে বিস্ফোরণের খবর আসে সিঙ্গাপুরের (Singapore)পতাকাবাহী জাহাজে । এবং সেখান থেকেই সঙ্গে সঙ্গে খবর পাঠানো হয় কোচি দপ্তরে। সেই খবর পাবার পরই জলন্ত জাহাজটির (Kerala Coast) উদ্ধারে ছুটে যায় ভারতীয় নৌসেনা। কোচির নৌসেনা ঘাঁটি থেকেও একটি যুদ্ধবিমান পাঠানো হয় ঘটনাস্থলে। এই গোটা পরিস্থিতির নজর রাখছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এই বিষয়ে প্রতিরক্ষা আধিকারিক জানিয়েছেন, “জাহাজে থাকা ২২ জনের চালকদলের মধ্যে ১৮ জনকে নৌকায় চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া। কিন্তু সেখানে এখনও ৪ জন নিখোঁজ। জাহাজটি আগুনে পুড়ছে।”
সম্প্রতি জানা যাচ্ছে সিঙ্গাপুরের যে পণ্যবাহী জাহাজটিতে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তার নাম এমভি ওয়ান হায় ৫০৩।জাহাজটি ছিল ২৭০ মিটার লম্বা এবং এই জাহাজটি গত ৭ জুন শ্রীলঙ্কার কলম্বো থেকে মুম্বইয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল। পৌঁছোনোর কথা ছিল ১০ জুন, মঙ্গলবার। তার আগেই কেরল উপকূলে (Kerala Coast) ঘটে যায় এই বিস্ফোরণ।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আরও জানিয়েছেন, খবর পাওয়া মাত্রই আইএনএস সুরতকে যেটি ভারতীয় নৌবাহিনীর গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার। ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। সেই যুদ্ধজাহাজটি তখন কোচির দিকে আসছিল। কিন্তু দিক পরিবর্তন করে তড়িঘড়ি সেটিকে কেরলের উপকূলে বিস্ফোরণস্থলে চলে যেতে বলা হয়। এই গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে এবং প্রয়োজনে উদ্ধারকাজে সাহায্য করতে নৌসেনার একটি বিমান পাঠানো হয়। আইএনএস গরুড়কেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে জরুরীকালীন সময়ের জন্য।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT