নিউজ পোল ব্যুরো : মেঘালয়ে হানিমুনে গিয়ে খুন হতে হয়েছে স্বামীকে (Meghalaya Murder)। নেপথ্যে স্ত্রীর প্রেমিক। মেঘের রাজ্যে হানিমুনই এখনই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। যত সময় যাচ্ছে ততই সামনে আসছে গা শিউরে ওঠার মত সব তথ্য। ইন্দোরের বাসিন্দা রাজা রঘুবংশী তাঁর স্ত্রীর সোনামের সঙ্গে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে মেঘালয়ে খুন হন। এবার সামনে তার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট।
স্বামী রাজা রাজবংশীকে খুনের কথা স্বীকার করেছে স্ত্রী সোনাম রঘুবংশী। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছে রাজার মাথায় রয়েছে দুটি ধারালো আঘাতের চিহ্ন। একটি সামনের দিক থেকে, আরেকটি পিছন দিকে। শিলংয়ের পাহাড়ি অঞ্চলে রাজা এবং তার স্ত্রী সোনম রঘুবংশী নিখোঁজ হয়েছেন বলে খবর পাওয়ার পর কয়েকদিন ধরে খোঁজাখুঁজির পর রাজার মৃতদেহ একটি জঙ্গলে পাওয়া যায়। স্ত্রী ভাড়াটে খুনি দিয়ে নিজের সদ্যবিবাহিত স্বামীকে খুন করিয়েছিলেন। মামলাটি শুরু থেকেই রহস্যের চাদরে মোড়া ছিল। জল্পনা ছিল রাজা এবং সোনম দুজনেই নিখোঁজ, কিন্তু অনুসন্ধানকারী দল স্বামীর মৃতদেহ উদ্ধার করার পর বিষয়টি আরও গভীর হয়ে ওঠে। সোমবার গাজীপুরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কাছে সোনম আত্মসমর্পণ করার পর এই মামলার সমাধান হয়। চেরাপুঞ্জির জঙ্গলে গভীর খাদে তার স্বামী রাজাকে পাওয়ার এক সপ্তাহ পর সোনম আত্মসমর্পণ করেছে।
মেঘালয় পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছন সোনম (২৪) ভাড়াটে করে তার স্বামীকে হত্যা (Meghalaya Murder) করেছিল এবং রাজ কুশওয়াহা নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার চারজনের মধ্যে রাজ কুশওয়াহাও রয়েছেন। অন্য তিন অভিযুক্তকে আকাশ রাজপুত, বিকাশ ওরফে ভিকি এবং আনন্দ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এই খুনের মামলায় হাড়হিম করা তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে। জেরায় পুলিশ জানতে সোনামের অফিসেরই এক জুনিয়রের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাই বিয়ের পর রাজের জন্য স্বামী রাজাকে ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন সোনম। এমনকি, তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রেমিকের সঙ্গে ছক কষেই এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেছিলেন সোনম।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT