নিউজ পোল ব্যুরো: নতুন আশার আলো দু’দেশের সম্পর্কের আকাশে! ইদের (Eid 2025) শুভেচ্ছা বিনিময়ে নরম সুরে ইউনুস, মোদীকে (Narendra Modi-Muhammad Yunus) জানালেন পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমঝোতার বার্তা।
আরও পড়ুন: Trump Speech: ‘ওরা থুতু দিয়েছে, তাই আমরা মেরেছি’, আগুনে ঘি ঢাললেন ট্রাম্প, ফুঁসে উঠল লস অ্যাঞ্জেলেস
ভারত-বাংলাদেশ (India-Bangladesh) সম্পর্ক গত কয়েক মাসে নানা টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে গেলেও, সাম্প্রতিক ইদ-উল-আজহার (Eid-Ul-Azhar) শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্য দিয়ে এক নতুন শুভেচ্ছার বার্তা উঠে এসেছে দুই দেশের সর্বোচ্চ মহল থেকে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) পাঠানো শুভেচ্ছাবার্তার জবাবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মহম্মদ ইউনুস (Muhammad Yunus) তার চিঠিতে যে সুরে কথা বলেছেন, তা যেন দুই প্রতিবেশীর সম্পর্কের জমিতে আশার বীজ বুনে দিয়েছে।
মোদী (Narendra Modi) তার চিঠিতে বাংলাদেশের (Bangladesh) জনগণকে ইদের শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন, “এই উৎসব আমাদের আত্মত্যাগের গুরুত্ব বোঝায় এবং সমাজে সম্প্রীতির বার্তা দেয়। বাংলাদেশের মানুষের প্রতি শুভেচ্ছা ও সুস্বাস্থ্যের কামনা করছি।” এই বার্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) শেয়ার করেন ইউনুস (Yunus) এবং তাতে প্রতিক্রিয়াও জানান একই আন্তরিকতায় (Narendra Modi-Muhammad Yunus)।
ইউনুসের উত্তরটি ছিল বেশ কৌশলী, কিন্তু আশাবাদী। তিনি বলেন, “আপনার শুভেচ্ছা বার্তায় দু’দেশের মূল্যবোধ মিল স্পষ্ট। ইদ (Eid 2025) হলো পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও আত্মত্যাগের প্রতীক। এই উপলক্ষে আমি ভারতবাসীকেও শুভেচ্ছা জানাই। আমি বিশ্বাস করি, এই সৌহার্দ্য এবং সমঝোতার মানসিকতা আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন দিশা দেখাবে।”
এই বার্তার বিনিময় কূটনৈতিক মহলে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, রাজনৈতিক অস্থিরতা, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ইত্যাদি নিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক জটিল হয়ে উঠেছে। শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) রাজনৈতিক আশ্রয়, হিন্দু নির্যাতনের অভিযোগ এবং ইউনুস সরকারের দিল্লির উপর চাপ সবমিলিয়ে সম্পর্কের গতি ছিল কিছুটা অবনতির পথে।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT
এই প্রেক্ষাপটে মোদী ও ইউনুসের (Narendra Modi-Muhammad Yunus) শুভেচ্ছা বার্তা যেন সেই জট ছাড়ানোর সূক্ষ্ম কূটনৈতিক পদক্ষেপ। যদিও সব প্রশ্নের উত্তর এখনই মিলছে না, তবে এই মানবিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ বার্তালাপে ভবিষ্যতের জন্য আশার সুর শোনা যাচ্ছে।
