নিউজ পোল ব্যুরো : হানিমুনে গিয়ে রাজা রঘুবংশীকে খুনের ঘটনায় প্রতি পদে পদে শিউরে ওঠার মত তথ্য সামনে আসছে। বিয়ের আগে থেকেই রাজাকে খুনের পরিকল্পনা সোনাম করে রেখেছিল বলে সূত্রের খবর। মেঘালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্ত্রী সোনামকে (Sonam Raghuvanshi)। পুলিশে জেরার মুখে স্বামী রাজাকে খুনের কথা স্বীকার করেছে সোনাম। মেঘালয় পুলিশ-সূত্রে এমনটাই খবর মিলেছে।
“হ্যাঁ খুন করেছি” বিয়ের ১২ দিনের মাথায় রাজাকে খুনের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করল সোনম। রসূত্রের খবর প্রেমিক রাজ কুশওয়ার সঙ্গে মিলে অপরাধের পরিকল্পনা করেছিল সোনম। হানিমুনে যাওয়ার জায়গাও বাছা হয়েছিল পরিকল্পনা করেই। এখানেই শেষ নয় প্রথম ভাড়াটে খুনি দিয়ে খুনের পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে তৈরি করে রাখা ছিল দ্বিতীয় প্ল্যানও। সূত্রের খবর প্রেমিক রাজ কুশওয়াহাকে সোনম জানিয়েছিলেন তাঁর প্রথম প্ল্যান কাজ না করলে সেলফি তোলার অছিলাতেই রাজাকে খাদে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সে। সূত্রের খবর, নবদম্পতি ২৩ মে ভোর ৫.৩০ মিনিটে নংরিয়াতে শিপারা হোমস্টে হোটেল থেকে বের হন এবং আধ ঘন্টা পরে চেরাপুঞ্জিতে ভ্রমণে বের হন। সোনমের তিন সহযোগী, যারা কাছের একটি হোমস্টেতে অবস্থান করছিলেন, তারাও একই সময়ে সেখানে যান। সকাল ১০টার দিকে, সোনম এবং রাজা ট্রেক রুট ধরে প্রায় ২০০০ ধাপ অতিক্রম করে। সেখানেই আনন্দ, আকাশ এবং বিশালের সঙ্গে তাদের দেখা হয়। তার পরে রাজার মায়ের সঙ্গে শেষ কথা হয়।
ট্রেক রুট ধরে হাঁটার আধ ঘন্টা পরে, দুপুর ১টা থেকে ১.৩০টার মধ্যে ৫ জনের দলটি মাওলাখিয়াত থেকে গাড়ি চালিয়ে ওয়েই সাওডং জলপ্রপাতের পার্কিং লটে যায়। সেখানেই সোনামের (Sonam Raghuvanshi) কাছ থেকে সংকেত পেয়ে বিশাল রাজার মাথায় জোরাল আঘাত করে। স্বামীর মৃত্যু হয়েছে নিশ্চিত করার পরেই দুপুর ২.১৫ মিনিটে সোনম রাজার ফোন ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে, “সাত জন্মোঁ কা সাথ হ্যায়” দুপুর ২.৩০টার দিকে অভিযুক্তরা রাজার মৃতদেহ রিয়াত আরলিয়াং-এর ওয়েই সাওডং পার্কিং লটের নীচে খাদে ফেলে দেয়। তার পরেই ঘটনাটি হানিমুনে গিয়ে “নিখোঁজ দম্পতি” হিসাবে শুরু হয়েছিল, কারণ রাজা এবং সোনমকে উত্তর-পূর্ব রাজ্যে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে ২ জুন রাজার দেহ উদ্ধারের পর থেকেই চাঞ্চল্যকর সব তথ্য সামনে আসে। আরও সব তথ্য জানাতে সোনমকে জিজ্ঞাসাবাদের পর্ব শুরু করবে SIT