নিউজ পোল ব্যুরো: সত্যি “life is so unpredictable”। হাতে যে মাত্র কয়েকটা মুহূর্ত রয়েছে সেটা স্বপ্নেও ভাবেনি আহমেদাবাদ-লন্ডন গামী বিমানের পাইলট, ক্রু মেম্বার সহ সাধারণ যাত্রীরা। বিমান বন্দরের রানওয়ে ছাড়ার কয়েকমিনিটের মধ্যে সব শেষ। আহমেদাবাদের মাটিতে ঘটে গিয়েছে দেশের অন্যতম ভয়ংকর দুর্ঘটনা (Ahmedabad plane Crash)। ২৪২ জনকে নিয়ে আহমেদাবাদ থেকে ইংল্যান্ডের গ্যাটউইকগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান(Air India) টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে। বিমানে থাকা যাত্রীদের কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই। এই দুর্ঘটনা নেপথ্যের কারণ নিয়ে চলছে চর্চা। উঠে এসেছে পাইলটদের ভূমিকার কথাও। কিন্তু জানেন কি এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান পরিচালনাকারী দুই পাইলটের অভিজ্ঞতা ছিল প্রচুর। কিন্তু সেই অভিজ্ঞতা বাঁচাতে পারল না কাউকেই।
লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারটি দুপুর ১:৩৯ মিনিটে আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ভেঙে পড়ে । বৃহস্পতিবার অসামরিক বিমান চলাচল দপ্তর (DCGA) জানিয়েছে, ক্যাপ্টেন সুমিত সাভারওয়াল এবং ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্ডারের নেতৃত্বে বিমানটি পরিচালনা করা হয়েছিল যাদের সম্মিলিত উড়ানের অভিজ্ঞতা ছিল ৯,৩০০ ঘন্টা। DCGA আরও জানিয়েছে, ক্যাপ্টেন সাভারওয়াল একজন দক্ষ পাইলট যার ৮,২০০ ঘন্টা উড়ানের অভিজ্ঞতা রয়েছে । অন্যদিকে তাঁর কো-পাইলটের ১,১০০ ঘন্টা উড়ানের অভিজ্ঞতা ছিল। ক্যাপ্টেন সাভারওয়াল বিমান ওড়ানোর প্রশিক্ষণও দিতেন। কিন্তু তাঁদের এত অভিজ্ঞতা কাজে এল না।
আরও পড়ুন Ahmedabad Plane Crash: শেষ মুহূর্তে পাইলটের গলা! ‘মে’ডে’ কেন এত জরুরি?
সূত্রে খবর বিমানটি ৬২৫ ফুট থেকে প্রতি মিনিটে ৪৭৫ ফুট বেগে নীচে নামার সময় পাইলটদের প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় তাঁদের হাতে এক মিনিটেরও কম সময় ছিল। বিপদের অবস পেয়েই পাইলট দ্রুত যোগাযোগ করেন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (ATC) সঙ্গে। পাঠিয়েছিলেন জরুরি সংকেত ‘ মে ডে ‘ । এই সংকেতকে চরম বিপদ সংকেত হিসেবেই ধরা হয়। কিন্তু বিপদ সংকেত পাঠানোর কয়েক মুহূর্তেই ATC এর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বলেই সূত্রে জানা গিয়েছে। এটিসি বারবার যোগাযোগ করলেও পাইলটদের থেকে কোনও উত্তর মেলেনি বলেই খবর। পাইলটদের বিপদ সংকেত পাঠানোর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ বিমানটি ভেঙে পড়ে (Ahmedabad plane Crash)।