নিউজ পোল ব্যুরো: রাখে হরি তো মারে কে! বিশ্বাসকুমার রমেশের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। একেবারে অলৌকিক ঘটনা। আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় প্রায় সকলের মৃত্যু হয়েছে ধরেই নিয়েছেন গোটা বিশ্বের মানুষ তখনই সকলকে অবাক করে সন্ধ্যার দিকে হেঁটে বের হন এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India Crash) বিমানে থাকা একমাত্র জীবিত যাত্রী। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা থেকে কিভাবে বেঁচে ফিরলেন সেই বিষয়ই এখন চর্চার অন্যতম বিষয়। ‘মিরাক্ল’ ছাড়া এটা সম্ভব নয় বলছেন সকলেই। কিন্তু তাঁর জীবন রক্ষার পিছনে কিভাবে তাঁর সিট নম্বর ১১এ লাকি চার্ম হয়ে উঠল জেনে নিন।
বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ২৪২ জন যাত্রী এবং ক্রু নিয়ে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান AI-171, উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই আবাসিক এলাকায় ভেঙে পড়ে। দেওয়ালে ধাক্কা লাগতেই হয় বিস্ফোরণ। সেই ঘটনায় বেঁচে যাওয়া একমাত্র ব্যক্তি হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক রমেশ বিশ্বকুমার বুচারভাদা, যিনি বিমানের ১১এ-তে বসে ছিলেন। সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন সেই লোম হর্ষক ঘটনার কথা। বলেছেন, “উড্ডয়নের ৩০ সেকেন্ড পরে, একটি বিকট শব্দ হয় এবং তারপরে বিমানটি ভেঙে পড়ে । সবকিছু খুব দ্রুত ঘটেছিল। তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমি যখন উঠে দাঁড়াই, আমার চারপাশে শুধু মৃতদেহ । খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। উঠেই আমি দৌড়োতে শুরু করি। আমার চারপাশে বিমানের অনেক টুকরো দেখতে পেয়েছিলাম। তার পর কেউ এক জন আমাকে টেনে ধরে অ্যাম্বুল্যান্সে তুলল। আমি হাসপাতালে চলে এলাম।’’ কিভাবে তাঁকে বাঁচিয়ে দিল তাঁর সংরক্ষিত আসন ১১এ? এই প্রশ্নের ব্যখ্যায় তিনি বলেছেন, ‘‘গোটা বিমান ভেঙে পড়ল। হঠাৎ তীব্র ঝাঁকুনিতে আমার সিটটা খুলে এসেছিল। তাই হয়তো আমি বেঁচে গেলাম। আমি যে দিকে পড়েছিলাম, সেখানে হস্টেলের একতলার ফাঁকা জায়গা ছিল কিছুটা। সেখান দিয়ে আমি বেরিয়ে আসার চেষ্টা করি। কিন্তু উল্টোদিকে হস্টেলের দেওয়াল ছিল। সে দিক থেকে হয়তো কেউ বেরোতে পারেনি। আমার বাঁ হাত একটু পুড়ে গিয়েছে।’’
রমেশ জানিয়েছিন বিমানটি যখন নিচে নামতে শুরু করে, তখন সিটটি তার জন্য ভাগ্যবান হয়ে ওঠে, কারণ তিনি চিন্তা না করেই জরুরি বহির্গমন পথ থেকে লাফিয়ে পড়ে। ১১জে-তে বসে থাকা তার ভাই বের হতে পারেনি। রমেশ তার বড় ভাই অজয় কুমার রমেশ (৪৫) এর সঙ্গে গুজরাটে পরিবারের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন। রমেশ বাঁচলেও তাঁর ভাই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। রমেশ বসেছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার এআই১৭১ বিমানের ইকোনমি ক্লাসের ১১এ নম্বর আসনে । বিশেষজ্ঞরা বলছেন ১১এ আসনের জন্যই বেঁচেছেন রমেশ। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, আপৎকালীন দরজা স্থায়ী ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় বিমান ওড়ার পর । তবে বিমান ওড়ার আগে যাত্রীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় কিভাবে খোলা যায় এই দরজা। সেই শিক্ষাই কাজে লেছে বলে অনুমান। আবার এটাও মনে করা বিল্ডিংয়ে ধাক্কা খাওয়ার পর আপৎকালীন দরজার ‘সিস্টেমে’ ভেঙে যাওয়ার কারণে বিস্ফোণের আগেই বাইরে ঝাঁপ দিয়েছিলেন রমেশ তাতেই তিনি প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন।
নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT