Iran-Israel: ১০০ ড্রোনের প্রতিশোধ! ইরান বনাম ইজরায়েলের যুদ্ধ শুরু?

আন্তর্জাতিক

নিউজ পোল ব্যুরো: নিঃশব্দে বাড়ছিল চাপ। উত্তপ্ত হচ্ছিল মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি। আর সেই আগুনে এবার যেন বিস্ফোরণ ঘটল। ইজরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইরানের সামরিক নেতৃত্বের (Iran-Israel) বড় অংশই ধ্বংস হয়ে গেল। নিহত হয়েছেন ইরানের (Iran) সেনাপ্রধান মহম্মদ বাঘেরি, রেভোলিউশনারি গার্ডের কমান্ডার হোসেন সালামি, এমার্জেন্সি কমান্ড প্রধান সহ একাধিক শীর্ষ সামরিক কর্তা। পারমাণবিক গবেষণার (Nuclear research) সঙ্গে যুক্ত ছয় বিজ্ঞানীর মৃত্যু খবরেও এসেছে। এই ধ্বংসাত্মক হামলার জবাব দিতে দেরি করেনি তেহরান (Tehran)। পালটা প্রতিশোধে এক ঝাঁক ড্রোন (Drone) পাঠিয়ে দিল ইজরায়েলের আকাশে।

আরও পড়ুন: Ahmedabad Plane Crash: শেষ মুহূর্তে পাইলটের গলা! ‘মে’ডে’ কেন এত জরুরি?

ইজরায়েলি অপারেশন ‘রাইজিং লায়ন’-এর মাধ্যমে আকাশপথে ইরানের ১০০টিরও বেশি সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় টার্গেটেড অ্যাটাক (Iran-Israel) চালানো হয়। এমন ভয়াবহ ধ্বংসে কেঁপে ওঠে তেহরান। এরপরই শুরু হয় ইরানের (Iran-Israel) পালটা আক্রমণ। প্রায় ১০০টি ড্রোন ইজরায়েলের দিকে ছোড়ে তারা। যদিও তেল আভিভ দাবি করেছে, অধিকাংশ ড্রোন মাঝপথেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। জর্ডানের আকাশসীমা দিয়েও ঢুকে পড়ে কিছু ইরানি ড্রোন (Irani Drone)। জর্ডান নিজেই সেগুলিকে গুলি করে নামিয়েছে বলে জানিয়েছে সে দেশের সরকারি সংবাদমাধ্যম। ইরান-ইরাক উভয় দেশই তাদের আকাশপথ সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে। ফলে মধ্যপ্রাচ্যে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা কার্যত থমকে গেছে।

অন্যদিকে, ইজরায়েলের (Iran-Israel) এই আক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার কথাও উঠে এসেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকান প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করে চালানো হয় এই হামলা। তেহরান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা চুপ করে বসে থাকবে না। তবে যুদ্ধ এড়ানোর পথও খোলা রাখছে ইরান। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দ্বারস্থ হয়ে তারা দাবি তুলেছে বিশেষ বৈঠকের। বিশ্লেষকদের মতে, এই সংঘর্ষ আরও বড় রূপ নিতে পারে যদি কূটনৈতিক স্তরে সমাধানের রাস্তা না খোঁজা হয়। একে একে গাঢ় হচ্ছে যুদ্ধের মেঘ। এখন প্রশ্ন, কীভাবে উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায় যুদ্ধ না শান্তি, সময় বলবে।

নিউজ পোল বাংলা ইউটিউব লিঙ্ক:- https://youtube.com/@newspolebangla?si=mYrQvXTBQ1lG3NFT